কাজের জন্য ব্যস্ততা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কিন্তু আমাদের চেহারার প্রতি কি আমরা নজর দিচ্ছি? আমাদের সমাজে ব্যস্ত পুরুষরা ত্বকের যত্নের ব্যাপারে উদাসীন হয়ে থাকেন। শোবিজ বা করপোরেট অফিসে যারা কাজ করেন তাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা বাঞ্ছনীয়। নারীদের তুলনায় তারা কম সচেতন থাকেন বলেই অল্প বয়সে বুড়িয়ে যান।
অনেকে মনে করেন, রূপচর্চা মেয়েলি ব্যাপার। নিয়ম মেনে রূপচর্চা করা অসম্ভব। ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক জিনিসগুলো এড়িয়ে চললে ত্বক সুস্থ রাখা যায়। যদি নিচের বিষয়গুলো খেয়াল করে মেনে চলি তবেই পাব নিজের আসল সৌন্দর্য।
খাবার: সারাদিন যেহেতু নানান কাজে পরিশ্রমের মাত্রা একটু বেশি হয়ে যায় তাই খাবারের সময় একটু খেয়াল রেখেই খেতে হবে। সবসময় গুরুপাক খাবার যেমন- বিরিয়ানি, পোলাও, কাচ্চি বিরিয়ানি বা বিভিন্ন ফাস্টফুড না খাওয়াই ভালো। খাবারে আমিষের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বজায় রেখে সবজির দিকে নজর দিতে হবে। তাহলে চেহারায় উজ্জ্বলতা বাড়বে বৈ কমবে না।
পানি: পানি এমন একটি উপাদান যা শরীরের সতেজটায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই পরিশ্রম করলে তৃষ্ণা পায় আর আমরা পানি পান করি। এছাড়াও সারাদিনে কমপক্ষে দুই লিটার পানি পান করা উচিত। এতে শরীরের বর্জ্য পদার্থ শরীরের ভেতরে জমতে পারে না। ফলে শরীর হয় তাজা আর ত্বক হয় উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।
রোদ: আল্ট্রাভায়োলেট ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। এজন্য রোদে বের হওয়ার অন্তত ২০-৩০ মিনিট আগে আপনার ত্বকের জন্য মানানসই সানস্ক্রিনের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। রোদে পোড়া ভাব দূর করতে এটি সহায়ক, ত্বক ক্যান্সারও রোধ করে।
সুইমিংপুল: এ পানিতে ক্লোরিন থাকে, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক। সুইমিং পুলের পানি ব্যবহার করে বাড়িতে এসে ত্বক ও চুল সাবান এবং শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত।
মানসিক চাপ: স্ট্রেস, বিষণ্ণতা, অপর্যাপ্ত ঘুম ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক। প্রয়োজনে মেডিটেশন, ইয়োগার সাহায্য নিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সব চাপ ভুলে হালকা হয়ে ঘুমাতে যান।
ধুলো-ধোঁয়া: যানবাহনের ধোঁয়া দূষণ ও ধুলা থেকে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে। ঘরে ফিরে চিকিৎসকের পরামর্শে ক্লিনজার ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।
ধূমপান: এটি শুধু শরীরের অভ্যন্তরে নয়, ত্বকেরও ক্ষতি করে।
সাবান : আপনার ত্বকের ধরন বুঝে ডাক্তারের পরামর্শে সাবান ব্যবহার করুন।