উড়ন্ত পিএসজিকে মাটিতে নামাল নান্তেস। নিজের ৮০০তম ম্যাচে ব্যর্থ হলেন লিওনেল মেসি।
প্রথমার্ধেই পিএসজির জালে তিনবার বল জড়িয়ে দিল নান্তেস। দ্বিতীয়ার্ধে এক গোল শোধ করলেও নেইমারের পেনাল্টি মিসে ব্যবধান কমানো হলো না। সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলেন মেসি ও এমবাপ্পে। সব মিলিয়ে ৩-১ গোলের বড় ব্যবধানে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে পিএসজিকে।
শনিবার রাতে প্রতিপক্ষের মাঠে এভাবেই নাস্তানাবুদ হয়েছে প্যারিসের তারকানির্ভর দলটি। এতে অবশ্য মাথা হেট হওয়ার নয় কোচ মাওরোসিও পচেত্তিনোর। কারণ লিগ ওয়ানে ১৫ ম্যাচ পর এটি তাদের প্রথম হার। এই মৌসুমে তাদের আগের হারটি রেনের বিপক্ষে। তবে আক্ষেপ থাকতেই পারে। নান্তেসের সঙ্গে সর্বশেষ দেখায় মেসির গোলে একই ব্যবধানের জয় পেয়েছিল পিএসজি।
ম্যাচ শুরুর পর ৪ মিনিটেই এগিয়ে যায় নান্তেস। পাল্টা আক্রমণে সতীর্থের পাসে ডি-বক্সে কোলো মুয়ানির শট কেইলর নাভাসের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে জালে জড়ায়। এর ৫ মিনিট পর মেসির শট ঠেকিয়ে দেন লাফু। ১৬তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান মেরলিন। ২ গোলের লিড নেয় নান্তেস।
৪৪ তম মিনিটে লালকার্ড দেখেন ডেনিস। এমবাপ্পেকে পেছনে টেনে ধরায় এ শাস্তি পান নান্তেস ডিফেন্ডার। তবে ভিএআরে সেটি বদলে হয় হলুদকার্ড। ১০ জনের দলে আর পরিণত হতে হয়নি নান্তেসকে।
সেই খুশিতেই কিনা প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় নান্তেস। ডিবক্সের ভেতরে জর্জিনিও উইজানাল্ডমের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় নান্তেস। সফল স্পট কিকে স্কোরলাইন ৩-০ করেন লুদোভিচ ব্লাস।
৩ গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে পিএসজি।
মাঠে নেমেই গোল পান নেইমার। মেসির দারুণ পাস ডি-বক্সে পেয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ৫৭তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে এমবাপ্পে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় পিএসজি। কিন্তু নেইমারের দুর্বল শট সহজেই ঠেকিয়ে দেন নান্তেসের গোলরক্ষক।
শেষ দিকে আরও দুটি সহজ সুযোগ মিস করে এমবাপ্পে ও মেসি দুজনেই। ফলে রেফারির শেষ বাঁশি পরাজয়ের গ্লানি নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় পিএসজিকে।
এ হারের পরও লিগ টেবিলে এখনও শীর্ষেই আছে পিএসজি। ২৫ ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট তাদের। এক ম্যাচ কম খেলে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে মার্শেই।