প্রিমিয়ার ফুটবলে এক ম্যাচ জয়ের স্বাদ না ফুরাতেই দ্বিতীয় ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়েছে মোহামেডান। গোল করে গোল ধরে রাখতে পারেনি। একটু ছোট ভুলে গোল হজম করে মোহামেডান ১-১ গোলে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে ড্র করে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় ফিরেছে।
২২ ডিসেম্বর প্রিমিয়ার লিগ শুরুর প্রথম দিন রাজশাহিতে নিজেদের প্রথম খেলায় ফর্টিসের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছিল মোহামেডান। সেই খেলায় প্রথমার্ধে গোল করে মোহামেডান এগিয়ে গেলেও বিরতির আগেই গোল হজম করেছিল। খেলার ৯০ মিনিটে মোহামেডান গোল পেয়ে ম্যাচ জিতেছিল। এবার শেখ রাসেলের বিপক্ষে খেলার ১০ মিনিটে গোল পেয়ে সেটি ধরে রাখতে পারেনি কোচ আলফাজের মোহামেডান।
শাহারিয়ার ইমনের উত্স থেকে মালির ফুটবলার, মোহামেডান অধিনায়ক সুলায়মান দিয়াবাতে গোল করেন ১-০। প্রথমার্ধটা দেখে মনে হচ্ছিল গোলসংখ্যা বাড়বে। সুযোগ পাচ্ছিল মোহামেডান। কিন্তু বারবার সুযোগগুলো কাজে লাগছিল না। এটাকিং থার্ডে গিয়ে মোহামেডান আটকে যাচ্ছিল। ফাইনাল পাস বার বার নষ্ট হয়েছে। কালকের ম্যাচে শেখ রাসেল পিছিয়ে থাকলেও হাল ছেড়ে দেয়নি। মোহামেডান ফুটবলাররা একপর্যায়ে একটু ঝিমিয়ে পড়েছিল। মনোযোগ কম ছিল।
৬৪ মিনিটে সেই সুযোগটা কাজে লাগায় শেখ রাসেল। বরুন্ডির ফুটবলার সেলেমানি ল্যান্ডি এনডুকুমানা মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন হোসেনকে ফাঁকি দিয়ে গোল করেন ১-১। মোহামেডান যখন জেগে ওঠে, তখন আর ম্যাচ হাতে নেই। গোল পরিশোধ করার জন্য আগে-পরে পাঁচ জন ফুটবলার পরিবর্তন করে শেখ রাসেল। মোহামেডান পরিবর্তন করে এক জন। আরিফের বদলে জাফর ইকবালকে মাঠে নামায়। শেখ রাসেলের গোলের অ্যাসিস্ট করেছে জাতীয় দলের স্ট্রাইকার সুমন রেজা।
শেখ রাসেল তাদের প্রথম খেলায় শেখ জামালকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল। সেই ম্যাচেও গোলের উত্স ছিলেন সুমন রেজা। এখন ক্লাবের জার্সিতে একাদশে খেলছেন। গত মৌসুমে বসুন্ধরা কিংসে ছিলেন। দুই বছর। কিন্তু একাদশে খেলার সুযোগ ছিল না। বেঞ্চে বসে বসে সময় কাটিয়েছেন। আর যখন জাতীয় দলের খেলার প্রয়োজন হতো তখন সুমন রেজাকে তৈরি হতেই সময় চলে যেত। এখন দল চেঞ্জ করে নিয়মিত মাঠে নামায় সামনে তার জন্য ভালো সুযোগ আসতে পারে।