এফডিসির কারণে তিনি আজ হয়ে উঠেছেন বাংলার ‘মিয়া ভাই’। এফডিসির প্রতিটি ইট-বলির সঙ্গে যেন পড়তে পড়তে জরিয়ে আছেন এই নায়কের নাম। এই প্রতিষ্ঠানটি ছিলো তার প্রিয় কর্মস্থল- একথা অনেকবার বলেছেন বাংলা সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। সেই এফডিসি থেকে শেষ বিদায় নিলেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুর ১ টায় ফারুকের মরদেহ এফডিসিতে নেওয়ার পর প্রিয় সহকর্মীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান নবীন-প্রবীণ সহকর্মীরা। মিয়াভাইকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন আলমগীর, সুজাতা, উজ্জল, রোজিনা, ফেরদৌস, মিশা সওদাগর, কাজী হায়ত, ওমর সানী, বাপ্পী চৌধুরী সহ অনেকেই।
এছাড়া চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াত, পরিচালিক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার তাকে শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। সবার শ্রদ্ধা জানানোর শেষে তার জানাজা শুরু হয় দুপুর ১টা ৫৩ মিনিটের দিকে। জানাজায় তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা ছাড়াও অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগীরা অংশ নেন।
বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সবশেষ সন্ধ্যা ৭টায় গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া দক্ষিণ সোম গ্রামের বাড়িতে চতুর্থ জানাজা সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।
জানাজা শেষে সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে বাবা আজগর হোসেন পাঠানের পাশে শায়িত হবেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা।
নায়ক ফারুক সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার (১৫ মে) সকাল ১০টায় মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: ইত্তেফাক