মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর তালিকা স্থগিত করেছে উপজেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে সকল সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে নতুন তালিকা করার জন্য চেয়ারম্যান গোলাম ফারুককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমি খানম জানান, বিভিন্ন ভাবে অভিযোগ পেয়ে সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যানকে তালিকা স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা) সাথে কথা বলেও জানতে পারি তালিকায় চেয়ারম্যান একা স্বাক্ষর করেছেন। যে কারণে সকল সদস্যর স্বাক্ষর নিয়ে নতুন তালিকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ওই তালিকা স্থগিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী তালিকার ৭৩ জনের মধ্যে চেয়ারম্যানের নিজ ওয়ার্ড থেকে তালিকাভুক্ত হয়েছে ২৮ জন। যারা চেয়ারম্যানের আত্মীয় বলে অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্যরা।
এ নিয়ে গত বুধবার মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকায় “তালিকার ২৮ জনই চেয়ারম্যানের স্বজন” প্রধান শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয় ।
জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, সদস্যদের সাথে সমন্বয় না করে তালিকা প্রস্তুত করেছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন। ওই তালিকা যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন ইউপি সদস্যরা। আবেদনের একটি অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি ভাবে খাদ্যবান্ধব কর্মসৃচিতে ৭৩জন সুবিধাভোগীর তালিকা তৈরি করেছে চেয়ারম্যান নিজে। যার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১ নম্বর থেকে ২ জন, ২ নম্বর থেকে ৪ জন, ৩ নম্বর থেকে ৪ জন, ৪ নম্বর থেকে ৩জন, ৫ নম্বর থেকে ৪ জন, ৬ নম্বর থেকে ৭ জন, ৭ নম্বর থেকে ১৪ জন, ৮ নম্বর থেকে ২৮ জন এবং ৯ নম্বর থেকে ৯ জন করে মোট ৭৩ জনের তালিকা করা হয়েছে।
ওয়ার্ডে মাত্র ২৪ জন সুবিধাভোগীদের তালিকা করা হয়েছে। বাকিগুলো চেয়ারম্যান কারোর সাথে সমন্বয় না করে তাঁর নিজের ৮নং ওয়ার্ডে ২৮ জন, পাশের দুটি ওয়ার্ড থেকে ২১ জনের তালিকা করেছেন।