কোন নিয়োগ পত্র ছাড়াই চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা হারদির উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেকে জিম্মি করে রেখেছে কিরণ। মেহেরপুর প্রতিদিন সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে প্রতিবাদ দেওয়ার চেষ্টা করলেও নিয়োগের সপক্ষে কোন কাগজ দেখাতে পারেননি কিরণ। এদিকে কোন নিয়োগ না থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। কি কারণে ব্যবস্থা নিতে পারছেন তাও জানেনা এলাকাবাসী। ফলে এলাকাবাসীর প্রশ্ন কিরণের খুঁটির জোর কোথায়।
কিরণ এমন কোন অপকর্ম নেই যা কিরণ দ্বারায় সংঘঠিত হয় না। সে একসময় ছিলো ডিম বিক্রেতা পরবর্তী করিমন ও অটোচালক।
আলমডাঙ্গা উপজেলা হারদী গ্রামের সিলাফত শেখ এর ছেলে কিরণ হারদী হাসপাতালের রোগিদের জিম্মি করে অর্থ আদায় করে আসছে। সরকারী ভবন দখল করে ঔষধ ফার্মেসী করেছে যেখানে স্বাস্থ্য বিভাগের উদাসীনতা। সরকারী ভবনে রাত্রী বেলায় নারীদের কে নিয়ে ফুর্তি বলে জানান, নাম না প্রকাশ করার শর্তে হারদী হাসপাতালের কর্মকর্তা একাধিক ব্যক্তি জানান।
হারদী হাসপাতালের কর্মকর্তা একাধিক চিকিৎসক মেহেরপুর প্রতিদিন কে বলেন আমরা প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হওয়ার পরেও কিরণের কাছে আমরা ছাগল ভেড়ার তুল্য। হারদি হাসপাতালের সামনে কয়েক জন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করিবার শর্তে বলে বিগত ১মাস আগে পুলিশ কেস ফরম এর জন্য ৫ শত টাকা চাই কিরণ। দিতে না চাইলে রোগির স্বজনদের সাথে কিরণের হাতাহাতি হয়।
কোন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলে পুলিশ কেস ফরম বাবদ ৩শত থেকে ৮ শত টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে কিরণ কে বলে রোগির স্বজনরা জানান কোন দুর্ঘটনায় আঘাত প্রাপ্ত রোগি ক্ষত স্থান পরিষ্কার করিতে গেলে রোগিজন প্রতি ৫০-থেকে ১ শত টাকা নিয়ে থাকে।
কিরণের সাথে যোগাযোগ করিলে মেহেরপুর প্রতিদিন কে জানান আমি স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমতি না নিয়ে হাসপাতালের কক্ষ দখল করে আছি। ঔষধ বিক্রয় করে থাকি আমার সে ক্ষমতা আছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হারদী (আর এম ও) ডা: মুতুজ্জা আরিফিন বলেন, কিরণের নিয়োগের বিষয় এবং হাসপাতালের রুম বরাদ্দ বিষয় আমার কিছু জানা নাই টিএইচও স্যারে সাথে কথা বলেন আমি কিছু বলিতে পারিবো না।
আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হারদী টিএইচও সাথে যোগাযোগ করিলে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে তিনিও এ ব্যাপারে কিরণের কোন নিয়োগ নেই বলে জানিয়েছিলেন।
আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান ও হারদী হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সদস্য আয়ুব আলী বলেন, কিরণের নিয়োগের বিষয় আমার জানা নেই। হারদী হাসপাতাল পরিচালনা কমিটি কাউকে রুম বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হারদী হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে মোবাইলে পাওয়া যায়নি।