বিশ্বকাপ জেতার পর এক দিন পেরিয়ে গেছে। কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটের এ সাফল্যের রেশ এখনো দেশের মানুষের মনে। এর মধ্যেই একটি দুঃখজনক ঘটনার সাক্ষী হতে হলো ক্রিকেটারদের। ফাইনাল শেষে দুই দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় শাস্তি পেয়েছেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার। ভারতের দুই ক্রিকেটারেরও জুটেছে বড় শাস্তি।
রকিবুল হাসান জয়সূচক শেষ রানটি নেওয়ার পর উল্লাসে মাতেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। এ সময়ে মাঠে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি, এমনকি সামান্য ধাক্কাধাক্কিও হয়েছে। পতাকা নিয়ে টানাহেঁচড়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন অধিনায়ক আকবর আলী। কিন্তু অধিনায়কের ক্ষমা প্রার্থনাতেও খুব একটা লাভ হয়নি। পুরো ঘটনা নিয়ে কাল তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন আইসিসির ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম ল্যাব্রয়।
সে অনুযায়ী শাস্তি পেয়েছেন বাংলাদেশের তৌহিদ হৃদয়, শামিম হোসেন ও জয়ের রান এনে দেওয়া রকিবুল হাসান। ভারতের আকাশ সিং ও রবি বিষ্ণয়কেও আইসিসির আচরণবিধির ২.২১ ধারা ভাঙায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। বিষ্ণয়ের ক্ষেত্রে ধারা ২.৫ ভাঙার অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে। তৃতীয় মাত্রার শাস্তি হওয়ায় সবাইকে কড়া শাস্তিই দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের তৌহিদ পেয়েছেন ১০টি সাসপেনশন পয়েন্ট, যা ৬টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। শামিমের ক্ষেত্রে সাসপেনশন পয়েন্ট ৮টি হলেও ডিমেরিট পয়েন্ট কিন্তু ৬টিই থাকছে। স্পিনার রকিবুল ৪টি সাসপেনশন পয়েন্ট পেয়েছেন, যেটা ৫ ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। এ পয়েন্টগুলো তিনজনেরই ক্যারিয়ারে আগামী দুই বছর থেকে যাবে।
ভারতের আকাশ ৮ সাসপেনশন ও ৬ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। বিষ্ণয় প্রথম অপরাধের জন্য ৫ সাসপেনশন ও ৫ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। আর ২৩তম ওভারে অভিষেক দাস আউট হওয়ার পর বাজে ভাষা ব্যবহার করায় পেয়েছেন আরও ২টি ডিমেরিট পয়েন্ট। পাঁচ ক্রিকেটারই এ শাস্তি মেনে নিয়েছেন।
এ শাস্তির ফলে আগামী দুই বছর জাতীয় দল বা অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে শাস্তি ভোগ করতে হবে এই পাঁচ ক্রিকেটারকে। ১ সাসপেনশন পয়েন্ট মানেই একটি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি, অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় বা এ দলের একটি ম্যাচ খেলতে না পারার শাস্তি। সে অনুযায়ী বেশ বড় শাস্তিই জুটেছে সবার। আইসিসি
সুত্র-প্রথম আলো
আরো পড়ুন-আলমডাঙ্গা জগনাথপুরের সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২