ফুটবল দুনিয়ায় ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির মারিও জাগালোর মৃত্যু এখনো শোকের ছায়া ঘিরে রেখেছে। এরই মধ্যে আরো একজন ফুটবল দুনিয়াকে আরো গভীর শোকে ডুবিয়ে দিল। পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন জার্মানির ফুটবল কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। জার্মানির এই ডিফেন্ডার হচ্ছেন ফুটবল দুনিয়ার সর্বকালের অন্যতম খেলোয়াড়।
পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন ৭৮ বছর বয়সি বেকেনবাওয়ার। রবিবার মারা গেছেন এই কিংবদন্তি। নিয়তির কাছে ভেঙে পড়ল তার রক্ষণভাগের জীবন। বিশ্বকাপ ফুটবলে ব্রাজিলের মারিও জাগালো খেলোয়াড় হয়ে বিশ্বকাপ জয় করেছিলেন দুই বার। কোচ হয়ে দুই বার বিশ্বকাপ জয় করেছিলেন তিনি।
জাগালোর মৃত্যুর দিনে খোঁজ পড়েছিল আর কে আছেন এই কীর্তিময় রেকর্ডের পাতায়। উঠে এসেছিল ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, ফ্রান্সের দিদিয়ের দেশমের নাম। তিন জন ফুটবলার খেলোয়াড় হয়ে বিশ্বকাপ জয় করেন এবং কোচ হয়েও তারা বিশ্বকাপ জয় করেন। ১৯৮৪ সালে ফুটবল থেকে পুরোপুরি অবসর গ্রহণ করেন বেকেনবাওয়ার।
তার পরও ফুটবল দুনিয়া কখনোই তাকে এক মুহূর্তের জন্য ভুলে যায়নি। তার ফুটবল কীর্তির কথা শুধু জার্মানিতে নয়, পুরো ইউরোপ আমেরিকা, লাতিন ফুটবলে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
জার্মান ফুটবলের আইকন ছিলেন তিনি। তাকে আদর করে ডাকা হতো বাজাইজার নামে। বেকেনবাওয়ার তার ফুটবল শৈলী দিয়ে আলাদা একটা শিল্প তৈরি করেছিলেন। তার ফুটবলে মোহিত হয়ে থাকতেন দর্শক। বেকেনবাওয়ার যখন ফুটবল খেলতেন তখন বাংলাদেশের দর্শক সরাসরি সেই খেলা দেখার সুযোগ পেতেন না। এখনকার মতো প্রযুক্তির সুবিধা না থাকার পরও তাদের নান্দনিক ফুটবলের ছোঁয়া উপভোগ করেছেন এদেশের দর্শক।
দুই দিন দেরিতে হলেও সেই সব খবর আসত বাংলাদেশের ঘরে ঘরে। বেকেনবাওয়ার তার বলের ওপর দখল আর প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে নেওয়ার মতো জাদুকরি কৌশল এখনো তখনকার দর্শক মনে রেখেছে। পশ্চিম জার্মানির জার্সি গায়ে ১০৪টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ১৯৭৪ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন জার্মানির অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ১৬ বছর পর ইতালির কোচ হয়ে তিনি বিশ্বকাপ জয়
করেছিলেন। বায়ার্ন মিউনিখের জার্সি গায়ে খেলে ইউরোপে জুড়ে ফুটবলের ঢেউ তুলে ছিলেন। খেলা শুরু করেছিলেন আক্রমণভাগে। ১৯৬৪ সালে বায়ার্নে লেফট উইঙ্গার পজিশনে খেলেছেন। এরপর সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে খেলেছেন। বায়ার্নকে তুলে ছিলেন বুন্দেস লিগায়।