নতুন নাটকের প্রতিই সাধারণত দর্শকের আগ্রহ থাকে বেশি। নতুন গল্প, নতুন নির্মাণশৈলী আবার নতুন শিল্পী। কিন্তু এটিও সত্যি যে পুরনো অনেক নাটকের প্রতি দর্শকের ভালোলাগা-আগ্রহ থেকে যায় দীর্ঘদিন।
সেই নাটকের গল্প যদি ভালো হয় এবং শিল্পীদের অভিনয়ও যদি মনের মতো হয়, তা হলে সে নাটক দর্শক বারবার দেখতে চান। প্রায় ১০ বছর আগে নির্মিত একটি চমৎকার গল্পের নাটক ‘যদিও সন্ধ্যা’। নাটকটি রচনা করেছিলেন শফিকুর রহমান শান্তনু এবং নির্মাণ করেছিলেন চয়নিকা চৌধুরী।
নাটকটির গল্পের দুটি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এই সময়ের নন্দিত-জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী রুনা খান। ২০১৭ সালে নাটকটি ইউটিউবে প্রকাশিত হয়। ইউটিউবে প্রকাশের পরও নাটকটি এখনো প্রতিনিয়ত দর্শক উপভোগ করছেন।
পুরনো নাটকের প্রতি দর্শকের আগ্রহ প্রসঙ্গে অপূর্ব বলেন, আমার অভিনীত এমন অনেক নাটক আছে যা হয়তো বহুবছরের পুরনো, হতে পারে তা একযুগেরও আগের। কিন্তু এখনো এমন কিছু দর্শক আছেন, যা তারা সময় পেলে দেখে থাকেন। সেসব নাটকের দর্শকও এখনো যখন ভালো ব্যতিক্রম গল্পের নাটকে অভিনয় করি, পুরনো নাটকের সূত্রতা ধরে কথা বলেন বা তাদের অভিমত প্রকাশ করেন।
একজন শিল্পী কিন্তু তার শুরুর সময় থেকে তার প্রতিটি কাজের জন্যই ভীষণ আন্তরিক থাকেন। কোনো কাজকেই আসলে কম গুরুত্বের বিষয় হিসেবে বিবেচনা করেন না। এটি সত্যি যে একটু বেশি ভালো গল্প বা অন্যরকম গল্পের প্রতি শিল্পীর ভালোলাগা থেকেই যায়। রুনার সঙ্গে এই নাটকে ৯ বছর আগে অভিনয় করেছিলাম। এখনো এ নাটক দর্শক উপভোগ করছেন, শিল্পী হিসেবে এটি আমার ভালোলাগা।
রুনা খান বলেন, আমি তো আসলে এই স্বপ্নটাই দেখি যে, যেদিন আমি থাকব না, সেদিন আমার অভিনীত ভালো কাজগুলো নিয়ে দর্শক আলোচনা করবেন, আমাকে মনে রাখবেন। এমন ভালো কাজের সঙ্গেই নিজেকে সবসময় সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করি আমি। আর পুরনো কাজ যদি দর্শকের ভালো লাগে, সেটিই আমার ভীষণ ভালোলাগা।
এদিকে অপূর্ব এরই মধ্যে শেষ করেছেন তৌফিকুর ইসলামের পরিচালনায় ‘ফিরে এসো সুরঞ্জনা’ সোহেল আরমানের পরিচালনায় ‘টাইমস আপ’ নাটকের কাজ। দুটিতে তার বিপরীতে আছেন হিমি ও কেয়া পায়েল।