দীর্ঘ এক মাস পর নিজের পদ ফিরে পেলেন নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়ার্দ্দার। হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশনের আদেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস।
গতকাল মঙ্গলবার আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাসের স্বাক্ষরিত এক স্বারক লিপিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তথ্যানুসারে জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন ১১নং নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ বিপুলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত জিআর মামলা নং-৪৯/২০২৩ এর অভিযোগপত্র আদালতের মাধ্যমে গত ৯/১০/২০২৩ তারিখে গৃহীত হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১)ধারা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক, চুয়াডাঙ্গা ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন। পরবর্তীতে এজাজ ইমতিয়াজ বিপুলের বিরুদ্ধে উল্লেখিত অভিযোগে তার ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। সেহেতু নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ বিপুলের মাধ্যমে সংঘটিত কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থ পরিপন্থি বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১)ধারায় অপরাধ সংগঠিত করায় উল্লেখিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ আদেশের পরবর্তীতে গত ১২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের দারস্থ হন এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়ার্দ্দার। তার আপিলে হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নং-১৭০৮/২০১৪ এর ১৩-০২-২০১৪ তারিখের আদেশ অনুযায়ী পূণরায় ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনকে।
গত ৩ মার্চ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনকের কার্যালয়ে ০৫,৪৪.১৮০০,১০৬,৯৭.০১৮ (অংশ-১), ১৪-১০৫ নং স্মারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসারকে। হাইকোর্ট ও জেলা প্রশাসনের যৌথ স্বারকে উল্লেখিত নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে পূণরায় দায়িত্বপালনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার স্নিগ্ধা দাস।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার স্নিগ্ধা দাস জানান, হাইকোর্টের রিটের আদেশে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়ার্দ্দার পূণরায় ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। তাকে চিঠি করা হয়েছে।