ভুটানে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে খেলতে গিয়ে বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলাররা সব ম্যাচ হেরে শনিবার ঢাকায় ফিরেছেন। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচের মধ্যে তিনটাতেই শোচনীয় হার বসুন্ধরা কিংসের। দলের ফুটবলারদের খেলা দেখে হতাশ হয়েছেন দর্শক। তথাকথিত বাজপাখি গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো, শেখ মোরসালিন, রাব্বি হোসেন রাহুল, মজিবর রহমান জনি, সোহেল রানা, সাদ উদ্দিন, রাকিব হোসেন, মেহেদী হাসান শ্রাবণ, তপু বর্মনরা জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন গতকাল।
এসব ব্যর্থ ফুটবলাররা এএফসির টুর্নামেন্টে গিয়ে ভুটানের মতো ক্লাব দলের কাছেও হেরেছেন। নিজ ক্লাবকে কিছু দিতে পারেননি। বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগের ১ নম্বর দল বসুন্ধরা কিংস। হেরেছেন ভারতের লিগের তলানীতে থাকা ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের বিপক্ষে। ৪ গোলে। ৩৩ মিনিটে ৩ গোল, ৪৪ মিনিটে ৪ গোল। ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের কোচ ছিলেন অস্কার ব্রুজন, কিংসের সাবেক কোচ।
অস্কারের কাছে কিংস কর্তাদের মাথা হেট করে দিয়েছেন রাকিব, জিকো, তপু, সোহেল রানারা। চ্যালেঞ্জ লিগে ৩ ম্যাচে ৭ গোল হজমের বিপরীতে কিংসের প্রাপ্তি ১ গোল। লজ্জার হার মাথায় নিয়ে গতকাল তারা হাসি মুখে টিম হোটেলে উঠেছে। এখন তাদেরকে নিয়েই জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরাকে মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলাবেন। পুরুষ ফুটবলারদের জবাবদিহিতা নেই। তারা পারিশ্রমিকটাকেই বড় করে দেখেন।
বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল জীবনবাজি রেখে মাঠে লড়াই করেন। কিন্তু লড়াইয়ের তুলনায় পারিশ্রমিক কিছুই না। আর পুরুষ ফুটবলাররা পারিশ্রমিক পান দুই হাত ভরে। ফ্ল্যাট, জমি, গাড়ি কেনেন। কিন্তু দেশ কী পাচ্ছে, ভেবে দেখেন না। তা নিয়ে মাথাব্যথাও নেই জাতীয় দলের ফুটবলারদের। ঢাকায় বসুন্ধরা কিংসের মাঠে মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ ১৩ ও ১৬ নভেম্বর। ১১ নভেম্বর ঢাকায় আসবে মালদ্বীপ।
সূত্র: ইত্তেফাক