অবশেষে ইতালিতে স্পন্সরে শ্রমিক নেওয়ার অনুমোদন দিল মন্ত্রিপরিষদ। গত বুধবার ২২ ডিসেম্বর স্পন্সরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৭০ হাজার শ্রমিক নেওয়ার অনুমোদন দেয় ইতালির মন্ত্রিপরিষদ। এতে সই করেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি।
বিভিন্ন সেক্টরে এসব শ্রমিক বৈধভাবে ইতালিতে এসে কাজ করতে পারবেন। যেসব সেক্টরে শ্রমিক আসতে পারবে এর মধ্যে- মৌসুমি, অমৌসুমিসহ অন্যান্য ভিসায় মোট ৬৯ হাজার ৭০০ শ্রমিক এসে এবার কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। মৌসুমি ও অমৌসুমিসহ অন্য কোটায় বাংলাদেশসহ ৩২টি দেশের শ্রমিক নেবে ইতালি।
এর মধ্যে আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, কোরিয়া (কোরিয়া প্রজাতন্ত্র), আইভরি কোস্ট, মিসর, এল সালভাদর, ইথিওপিয়া, ফিলিপাইন, গাম্বিয়া, ঘানা, জাপান, গুয়াতেমালা, ভারত, কসোভো, মালি, মরক্কো, মরিশাস, মলদোভা, মন্টিনিগ্রো, নাইজার, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, উত্তর মেসিডোনিয়া প্রজাতন্ত্র, সেনেগাল, সার্বিয়া, শ্রীলঙ্কা, সুদান, তিউনিসিয়া, ইউক্রেন রয়েছে। অন্যদিকে মালামাল পরিবহন, ট্যুরিজম, পর্যটন হোটেল, নির্মাণ কাজের জন্য শ্রমিক আসতে পারবেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়নি।
এ কারণে কবে থেকে আবেদন জমা নেবে তা জানা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়রা বলছেন, খুব শীঘ্রই চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করা হবে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় জাসদের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও আইন পরামর্শক অ্যাডভোকেট আনিচুজ্জামান আনিচ বলেন, এবার সিজন্যাল (কৃষি) ভিসায় বেশি শ্রমিক আনবে।
কৃষিপ্রধান এ দেশে করোনার কারণে যেটুকু ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল তা পুষিয়ে নিতেই ৪২ হাজার শ্রমিক ইতালি সরকার দ্রুত সময়ে আনবে। আর নন-সিজন্যাল ভিসার প্রক্রিয়া অনেকটা জটিল। ১২ বছর আগে এটা অনেকটা উন্মুক্ত ছিল। গত দুই টার্ম বিভিন্ন নিয়মের বেড়াজালে কঠিন করেছে। যদিও উল্লেখিত দেশগুলো থেকে মাত্র ১২ হাজারের কোটা রয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত হলে বাংলাদেশের কোটা ১ হাজারেরও কম হতে পারে।