বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ বয়সের মানুষ বেশি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতর।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, এ পর্যন্ত যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ বয়সের মানুষের মৃত্যুর হার ৪৩. ২৭ শতাংশ। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
অন্যান্য বয়সীদের মধ্যে মৃত্যুর হার:
>>>> ৫১ থেকে ৬০ বছরের মানুষের মৃত্যু হার ২৮.৫১ শতাংশ
>>>> ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৪.৯৯ শতাংশ
>>>> ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৭.৬২ শতাংশ
>>>> ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৩.৪৯ শতাংশ
>>>> ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১.১৬ শতাংশ
>>>> ১০ বছরের নিচে দশমিক ৬৩ শতাংশ।
এদের বেশিরভাগই হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড মেডিসিনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ লাখ ১১ হাজার ৫৪৩ জনের।
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১,৮৮৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
তবে সরকারি সংস্থা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট আইইডিসিআরের তথ্যমতে, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে এপর্যন্ত শনাক্ত ব্যক্তির ৫০ শতাংশেরই বয়স ২১ থেকে ৪০ বছর।
আইইডিসিআরের ভাইরলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন এর আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তরুণরা নিজেরা আক্রান্ত হয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষা ব্যবস্থার উপর চাপ তৈরি করছেন।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২৩ জন আর বাড়িতে ১৮ জন। সূত্র-যুগান্তর