বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুরাগীদের একটি বড় অংশের দাবি– বিপুল অর্থ দিয়ে বিদেশি কোচ না এনে সাবেক তারকা আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে জাতীয় দলের কোচ করা হোক।
এমন দাবির ব্যাখ্যায় তারা জানাচ্ছেন, এতে ব্যয় তো কমবে। তা ছাড়া কোনো দিক দিয়ে বুলবুলের যোগ্যতার কমতি নেই। তিনি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক। অস্ট্রেলিয়ায় ক্রিকেট কোচিংয়ের ওপর উচ্চতর শিক্ষা নিয়েছেন। ক্রিকেট কোচিংয়ের সব বড় ডিগ্রি অর্জন করে এখন আইসিসির ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে এশিয়ান ক্রিকেটের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তদারকি ও সমন্বয়ের কাজ করছেন।
তা হলে তার প্রতি এত অবহেলা কেন?
ভক্ত-অনুরাগীদের সেই আকাঙ্ক্ষার মূল্যায়ন করে ঈদের আগে ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের এক ইউটিউব লাইভে বুলবুল বলেন, আমি মনের দিক থেকে প্রস্তুত। দায়িত্ব দিলে দেশের ক্রিকেটে কাজ করতে আগ্রহী।
তবে সেটি জাতীয় দলের হেড কোচ, ব্যাটিং কোচ, নাকি ‘এ’ দল কিংবা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ হতে চান, সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি।
বুলবুলের সেই বক্তব্যের পর রোববার এ বিষয়ে কথা বলেছেন বিসিবি পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন।
তিনি বলেন, হেড কোচের চাকরি পাচ্ছেন না বুলবুল। কারণ বিসিবির আপাতত পছন্দের তালিকায় হেড কোচ হিসেবে কোনো স্বদেশী নেই।
তবে বুলবুলের জন্য দুটি ক্ষেত্রে কাজ করার প্রস্তাব দেয়া আছে বলে জানান সুজন।
তিনি বলেন, বুলবুল ভাই চাইলে জাতীয় দলের সহকারী কোচ হতে পারেন। এ ছাড়া হাইপারফরম্যান্স ইউনিটের হেড কোচ হতে পারেন।
কিন্তু বুলবুলকে এসব অফার আগেও করা হয়েছিল এবং তিনি কখনও ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানান খালেদ মাহমুদ সুজন।
তিনি বলেন, বুলবুল ভাইকে আমি নিজে জিজ্ঞেস করেছি যে, বাংলাদেশ টিমের হেড কোচের বাইরে তিনি যেটি চান তা ভেবে দেখা হবে। কারণ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের লক্ষ্য ও পরিকল্পনায় জাতীয় দলের হেড কোচ পদে স্থানীয় কাউকে নিয়োগের চিন্তাই নেই। শুধু তাকেই নয়, দেশের কোনো কোচকেই জাতীয় দলের দায়িত্ব দেয়ার পরিকল্পনা নেই বিসিবির।
বিসিবির এ পরিচালক বলেন, বুলবুল ভাই দেশে উপেক্ষিত নন কখনই। আমরা তাকে জাতীয় দলের সহকারী কোচ ও এইচপির হেড কোচ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তিনিই রাজি হননি। এখনও তার জন্য পথ খোলা সম্ভাব্য দুটি ক্ষেত্রের। বিষয়টি এখনও তার ওপর নির্ভর করছে। সূত্র-যুগান্তর