বার্সেলোনাকে তাদেরই মাঠে উড়িয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলো জুভেন্টাস। ক্যাম্প নউয়ে মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে ৩-০ গোলে জয় পেল জুভেন্টাস। সব প্রতিযোগিতা মিলে এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচ হারলো বার্সেলোনা। গত ৫ ডিসেম্বর লা লিগায় নবাগত কাদিসের মাঠে তারা ২-১ গোলে হেরেছিল।
শুরুর ২০ মিনিটে মধ্যে দুই গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় জুভেন্টাস। প্রথম সুযোগটি তারা পেয়েছিল ৯ম মিনিটে। তবে বাম দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ডি-বক্সে পেয়ে তুলনামূলক ভালো পজিশনে থাকা হুয়ান কুয়াদরাদোকে পাস না দিয়ে গোলরক্ষক বরাবর শট নেন রোনালদো। ৪ মিনিট পর তার সফল স্পট কিকেই এগিয়ে যায় সফরকারীরা।
বাম দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া রোনালদোকে ফাউল করে বসেন চোট কাটিয়ে ১ মাস পর সম্প্রতি ফেরা ডিফেন্ডার রোনালদো আরাহো। পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি রেফারিকে। গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে বরাবর শটে বল কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পাঠান পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
২০তম মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ম্যাককেনি। ডান দিক থেকে কুয়াদরাদোর ক্রস ৬ গজ বক্সের বাইরে পেয়ে শরীর পুরো শূন্যে ভাসিয়ে ডান পায়ের ভলিতে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন যুক্তরাষ্ট্রের এই মিডফিল্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে রোনালদোর দ্বিতীয় গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি পেয়ে যায় জুভেন্টাস। বার্সেলোনার ডি-বক্সে ডিফেন্ডার ক্লেমোঁ লংলের হাতে বল লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজার রেফারি। এবার জোরালো কোনাকুনি শটে গোলটি করেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রেকর্ড গোলদাতা। প্রতিযোগিতায় তার মোট ১৩৩টি গোল হলো।
৭০তম মিনিটে বার্সেলোনার পক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি, তবে আগমুহূর্তে গ্রিজমান অফসাইডে থাকায় সেটাও বাতিল হয়ে যায়। ৭৬তম মিনিটে খুব কাছ থেকে বোনুচ্চি জালে বল পাঠিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেওয়ার উচ্ছাসে মেতেছিলেন। কিন্তু অফসাইডে ছিলেন তিনি।
খেলার নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে আবারও মেসিকে হতাশ করেন বুফ্ফন। ডি-বক্সের মুখ থেকে তার বাম পায়ের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান আগামী জানুয়ারিতে ৪৩ বছর পূর্ণ করার অপেক্ষায় থাকা বিশ্বকাপজয়ী এই গোলরক্ষক।