মোটরসাইকেলের লাইসেন্সের জন্য ফাইল জমা দিতে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় মেহেরপুর বিআরটিএ অফিসের মাষ্টাররোলে কর্মরত কর্মচারীদের। এই টাকা বিভিন্ন ভাবে ভাগ হয়ে কাজটি সম্পন্ন করা হয়। বিআরটিএ অফিসের নিম্মশ্রেণীর কর্মচারী থেকে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা এই ভাগ পেয়ে থাকেন। দির্ঘদিন ধরে এই রেওয়াজ চলে আসছে। এ ব্যাপারে তেমন কোন ভুমিকা চোখে পড়ছে না।
মাঝে দু’একবার দুদক থেকে টিম এসে অভিযান চালিয়ে কয়েকজন মাষ্টাররোলে কর্মরত কর্মচারীদের অফিস থেকে বের করে দিয়েছেন। কিন্তু নতুন করে আবারো কিছু কর্মচারী সেখানে কাজ করছেন। তাহলে ব্যাপরাটা কি দাড়াল। এর বাইরে রয়েছে অফিস মুখী বেশ কিছু দালাল। তাদের দাবি আরো বেশি। অফিসের স্টাফদের সাথে যোগসাজশ করে ও্ই সকল দালাল বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়ে কাজ করছেন।
একজন গ্রাহক নিজে গিয়ে হয়রানি হলেও দালালরা ওই সকল সুযোগগুলোকে কাজে লাগাচ্ছে। গ্রাহকদের খরচ ও সময় দুটোই নষ্ট হচ্ছে। আবার একা করতে হয় তাহলে মাসের পর মাস এমনকি বছরও কেটে যাচ্ছে ।
নতুন সড়ক আইনে জেল জরিমানা বৃদ্ধি পাওয়ায় গাড়ির মালিক ও চালকদের মধ্যে এক ধরণের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিগত সময়ের থেকে বর্তমানে অনেক বেশি আবেদন জমা পড়ছে বিআরটিএ অফিসে। লোকবলের অভাব থাকলে সেখানে জনবল নিয়োগ দিয়ে কাজের গতি বৃদ্ধি করতে হবে। একই সঙ্গে অফিসকে দুর্নীতি মুক্ত ও হয়রানি মুক্ত করতে হবে।
মেপ্র/সম্পাদকীয়