কেবল বিটকয়েন মাইনিংয়ে খরচ হয় ১৫৪.৯ বিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুত্। বিশ্বের এমন ১৬৭টি দেশ আছে যারা সারা বছরে সব মিলিয়ে এত বিদ্যুত্ খরচ করতে পারে না। কেমব্রিজ বিটকয়েন কনসাম্পশন ইনডেক্স’র তথ্যে ধরা পড়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরির এই বিপুল বিদ্যুত ব্যয়।
বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরি হয় জটিল গাণিতিক এবং প্রযুক্তি নির্ভর প্রক্রিয়ায়। কেবল জটিল অঙ্ক কষার দক্ষতাই সব নয়। সেই সঙ্গে অত্যাধুনিক কম্পিউটারে ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরির পরিভাষাকে ‘মাইনিং’ বলা হয়। তার লেনদেন হয় আবার ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে।
দেখা গিয়েছে একেকটি বিটকয়েন তৈরিতে যে কাজ কম্পিউটারে চালাতে হয় তার জন্য ১৪৫০ কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুত্ প্রয়োজন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, চীন, রাশিয়ার পাশাপাশি কাজাখস্তানও বিটকয়েন তৈরি করছে বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় বেশি তৈরির কারণ জটিল সরঞ্জাম সহজে পাওয়ার সুবিধা। আবার চীন বা কাজাখস্তানে তৈরি হওয়ার কারণ মুখ্যত বিদ্যুতের কম দাম।
বিশ্বে ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারের আনুমানিক মূল্য ১.৮৯ লক্ষ কোটি ডলার। গবেষকরা বলছেন সব মিলিয়ে বিটকয়েনের মতো ১২ হাজার ৩৩টি ক্রিপ্টো মুদ্রা রয়েছে। ভার্চ্যুয়াল এক্সচেঞ্জের সংখ্যা ৯৬৫।