বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে এক লাখ ৭০ হাজার বিদেশি কর্মপ্রার্থীদের ভিসা এবং গ্রিনকার্ড স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোমবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, এই পদক্ষেপের ফলে মহামারীজনিত কারণে বেকার হয়ে পড়া এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
আপাতত চার ধরনের ভিসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সেগুলো হচ্ছে- এইচ১বি, এইচ ৪, এল১ এবং জি১ ভিসা। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এইচ১বির ক্ষেত্রে লটারির চেয়ে যোগ্যতা মানে জোর দিতে বলা হয়েছে।
মার্কিন অভিবাসন দফতরের পরিসংখ্যান জানায়, ২০১৯ অর্থবর্ষে ১ লাখ ৩৩ হাজার বিদেশিকে এইচ১বি ভিসার অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। এর বেশিরভাগই ভারত ও চীনের দক্ষ তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। এবার ভিসা ও গ্রিনকার্ডপ্রত্যাশী ছিলেন এক লাখ ৭০ হাজার।
এদিকে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা শুরু হয়েছে। করোনাভাইরাসের মহামারীকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে ট্রাম্প অভিবাসী আইন কঠিন করে তুলছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশটিতে উচ্চ দক্ষতার বিদেশি প্রযুক্তিকর্মী, শীর্ষ নির্বাহী, কৃষি খাতের সহায়ক কর্মী ও গৃহকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এক লাখ ৭০ হাজার মানুষের ভিসা ও গ্রিনকার্ড স্থগিত করা হয়েছে। এ বছরের শেষ নাগাদ ৫ লাখ ২৫ হাজার লোকের চাকরিতে এর প্রভাব পড়বে।
এই স্থগিতাদেশের ফলে এক লাখ ৭০ হাজার লোকের গ্রিনকার্ড অনিশ্চয়তায় পড়ল। এসব বিদেশিকে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ পেতে এখন অপেক্ষা করতে হবে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত। গত এপ্রিলে একবার এসব গ্রিনকার্ড স্থগিত করা হয়েছিল। সোমবার এ স্থগিতাদেশ আরও বাড়ানো হলো। সুত্র-যুগান্তর