টানা পাঁচ ম্যাচ হারের পর জয়ের হ্যাটট্রিক। আরসিবি, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পর দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে থাকল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দুবাইয়ে প্রীতি জিনতার দলের এটাই ক্যাচ লাইন। দুই ক্যারিবিয়ানের ব্যাটে ভর করে ‘দিল্লি জয়’ পাঞ্জাবের।
১৬৫ রান তাড়া করতে নেমে এক ওভার বাকি থাকতেই ৫ উইকেট ম্যাচ জিতে নিল কিংস ইলেভেন। সেই সঙ্গে ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় পাঁচ নম্বরে উঠে এল প্রীতি জিনতার দল। তবে এই ম্যাচ হারলেও অবশ্য ১৪ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরেই রইল দিল্লি ক্যাপিটালস।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাঞ্জাবের। দলের রান যখন ১৭, তখন ফর্মে থাকা রাহুলকে ডাগ-আউটে ফেরত পাঠিয়ে পাঞ্জাবকে ধাক্কা দেন অক্ষর প্যাটেল। ব্যক্তিগত ১৫ রানে আউট হন রাহুল। ক্যাপ্টেন আউট হলেও ক্রিজে এসেই ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন ক্রিস গেইল। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন গেইল।
ব্যাটে ঝড় তোলার জন্য অনভিজ্ঞ তুষার দেশপাণ্ডেকে বেছে নেন গেইল। দেশপাণ্ডের প্রথম ওভারেই তিনটি চার ও ২টি ছয়সহ ২৬ রান নিয়ে পাঞ্জাবকে ম্যাচে ফেরান গেইল। মাত্র ৫ ওভারে ৫০ রানের গণ্ডি টপকে যায় পাঞ্জাব। কিন্তু তারপরের ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ক্রস মারতে গিয়ে বোল্ড হন গেইল। তবে ১৩ বলে তিনটি চার ও ২টি ছক্কাসহ ২৯ রান করে দলের রাস্তা তৈরি করে দেন তিনি। এরপরই নিকোলাস পুরানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। মাত্র ৫৬ রানে তিন উইকেট হারায় পাঞ্জাব।
তার ভুলে মায়াঙ্কের রানআউট হওয়ায় মেনে নিতে পারেননি পুরান। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে পাঞ্জাবের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। ২৮ বলে তিনটি ছয় ও ৬টি চারসহ ৫৩ রান করে কাগিসো রাবাদার শিকার হন পুরান। তখন দলের রান চার উইকেটে ১২৫। অর্থাৎ জয়ের জন্য এখনও দরকার ৪০ রান।
এই অবস্থায় ফের দায়িত্বজ্ঞান শট খেলে আউট হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২৪ বলে ৩২ রান করে আউট হন। এরপর দীপক হুডা ও জিমি নিশামের ব্যাটে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছায় পাঞ্জাব।
তবে ম্যাচ হারলেও আইপিএলে রেকর্ড করে ম্যাচের সেরা হন শিখর ধাওয়ান। এদিনও সেঞ্চুরি করে আইপিএলে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টানা দু’ম্যাচে শতরান করে ইতিহাস গড়েন দিল্লি ক্যাপিটালসের এই বাঁ-হাতি ওপেনার।