“ আপনি নিজেকে লেখক, নিরপেক্ষ পরিচয় দেন। আপনার ফেসবুক ওয়ালে দেখি শুধু আওয়ামী সরকার বিরোধিতা, একটিও উন্নয়ন বা সাফল্যের লেখা নেই। একটু কৃতজ্ঞতা থাকা উচিত !!
ফ্লাইওভারের কারনে নারায়নগঞ্জ থেকে ঢাকায় ঢুকতে দেড় ঘন্টা পরিবর্তে যখন ১৫মিনিট লাগলো তখন আনন্দে আপ্লুত হইয়া এই সরকাররে ধন্যবাদ দিয়া একটা স্ট্যাটাস দিয়েছেন কোন দিন??
অথচ ঘন্টা খানেক জ্যামে পরলে সরকারের গুষ্টি উদ্ধার কইরা স্ট্যাটাস দেওয়ার সময় কোন চিন্তা করি না।
পদ্মা সেতু হইলে সাড়ে চার ঘন্টায় বরিশাল পৌঁছে কি আনন্দে সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে একটা স্ট্যাটাস দিবে কেউ কোনদিন? নাকি ব্রিজে টোল দেয়ার জন্য লাইনে থাকার জন্য সরকারের গুষ্টি উদ্ধার করবে?
আগে ছিলো মরা বিল, যেইখানে ময়লা আবর্জনা ঠাসা ছিলো, সেই হাতির ঝিলে সেলফী খিচতে খিচতে কোন দিন সরকাররে ধন্যবাদ দিয়েছেন?
ঢাকার শহরে বাস করে ২২ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ পাইয়াও এক ঘন্টার লোডসেডিং সহ্য করতে না পেরে সরকারের পিন্ডি চটকান, তখন কি একবার ভাইবা দেখছেন আগে ঢাকায় ১২ ঘন্টার বেশি কারেন্ট থাকতো না। ২০ হাজারের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন এর কারনে আলোক উৎসব হইছিলো। কই দিয়েছেন কি সরকারকে ধন্যবাদ?
মাধ্যমিক পর্যন্ত বই পাইতেছেন আপনারই আত্মীয়স্বজন, তাও জানুয়ারির এক তারিখ তিন কোটি বই পাইতেছে সারা দেশের শিক্ষার্থী, কই একটা স্ট্যাটাস দিয়াও তো সরকাররে ধন্যবাদ দিলেন না।
মেট্রো রেল হওয়ার সাথে সাথে মিরপুর থেকে মতিঝিল যাইবেন আধা ঘন্টায়, তখন কি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেইলা সরকাররে ধন্যবাদ দিবেন?? অথচ এখন সেই আপনাদের সময় বাচানোর জন্য রাস্তায় কাজ হইতাছে দেইখা একটু বেশি সময় জ্যামে থাকেন দেইখা সরকারের গুষ্টি উদ্ধার কইরা স্ট্যাটাস দিতে কিন্তু ছাড়েন না।
দেশে এত এত উন্নয়ন হইছে সেইটা চোখে পড়ে না? বোমা হামলা নাই, গ্রেনেডে হামলা নাই, শান্তিতে আছি তাই ভালো লাগে না।
যে ভাল কাজ করে তাকে তার কাজের জন্য বাহবা দিতে হয়,তাকে আরো কাজ করার প্রেরনা দিতে হয়, তবেই না আমাদের দেশ টা এগিয়ে যাবে,একজন একা কখনো
দেশটাকে বদলে দিতে পারে না,সবাই মিলে যার যার যায়গা থেকে এগিয়ে এলেই তৈরি সম্ভব আমাদের সোনার বাংলা,,,,
গ্রামে যান, জিজ্ঞাসা করুন। গ্রামের প্রায় বাড়ীতে মোটরসাইকেল, টিভি ফ্রিজ। মংগা নেই, সার সংকট নেই, সেচ সংকট নেই, প্রতিটি বাড়ীতে বিদ্যুৎ, গ্রামের মানুষ দরজা খুলে ঘুমায়, চোর ডাকাতের উৎপাতের চিন্তায় পাহারা দেয়া লাগে না।
কয়েক বছর আগেও নাইট কোচে ঢাকায় আসতাম। গাবতলি পৌঁছালে ভোর ৩ টা থেকে গাবতলিতে বসে থাকতে হতো সকাল না হওয়া পর্যন্ত। এখন যখন গাড়ী থেকে নামি তখন বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিই। গাবতলির ৮ নং গাড়ি ছিল পকেটমার আর মলম পার্টির নিয়ন্ত্রনে। এখন কি তা কমে যায় নি?
আগারগাও- মিরপুর তালতলায় রাত ৮ মানে হরহামেশা ছিনতাই। সন্ধ্যার পর মহিলাদের জন্য ছিল একপ্রকার কারফিউ। এখন শুধু ঢাকা না, গ্রামের মানুষরাও গভীর রাত পর্যন্ত চলাফেরা করে। চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেয়।
মতিঝিলে গুলি বোমা মেরে টাকা ছিনতাই হতো না, এমন কোন দিন কি ছিল? এখন কয়দিন এমন ঘটনা শুনতে পান? টিআইবি বলছে, দুর্নীতিতে আগে ছিলাম ১ এখন ১৭/১৫। মানে দুর্নীতিও কমেছে। সূচক পয়েন্ট অনেক ভাল।
আপনারা বলছে, টাকা লুট হয়ে গেছে আওয়ামী লীগ আমলে। বিএনপির সময় তো হয় নি, আমার প্রশ্নঃ তাহলে বিএনপির আমলে কেন নিজ টাকায় পদ্মা সেতু হয় নি, হাতিরঝিল হয় নি, এতোগুলো ফ্লাইওভার হয় নি, বিদ্যুতকেন্দ্র হয় নি, পারমানবিক প্রকল্প হয় নি, মেট্রোরেল হয় নি, নিজস্ব স্যাটেলাইট হয় নি, ১০০ অর্থনৈতিক জোন হয় নি, দুটি নয় একটিও সমুদ্রবন্দর হয় নি, এলএনজি গ্যাস আসে নি? রেল ব্যবস্থায় হাত দেয় নি? মেগা প্রকল্প বলতে বিএনপির একটা প্রকল্পের নাম কি বলা যাবে? গড় আয় ১০ বছরে ১০০০ মার্কিন ডলার বেড়ে দাড়িয়েছে ২০০০ মার্কিন ডলার হিসাব আছে?
টেন্ডারবাজী রোধে ই-টেন্ডার চালু হয়েছে। বলবো না এই দেশ রাতারাতি ইউরোপ আমেরিকা হয়ে গেছে, তবুও সরকারী দলের এমপি মন্ত্রী হয়েও জেলে যাওয়ার নজীর সৃষ্টি হয়েছে।
সমুদ্রসীমানা আদায়ে, সিটমহল সমস্যা সমাধানে বিএনপি কি করেছিল? তথ্য-প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে গেছে দেশ। এক্ষেত্রেও বিশ্বের কাছে রোল মডেল। সরকারের ক্রটি নেই তা বলা যাবে না তবে অর্জন যা হয়েছে তা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। অন্য দল যা পারে নি তাই পেরেছে আওয়ামী লীগ।
দোষ ক্রটি, ভাল মন্দ সব নিয়ে লিখুন, তাহলে বলবো আপনি নিরপেক্ষ। অথবা আপনিও আমার বা অন্যের মতো দল করেন, স্বীকার করুন। নিরপেক্ষ দাবি করলে নিরপেক্ষতা বজায় রাখুন।
লেখকঃ এম.এ.এস ইমন সদস্য, কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ