মঞ্চটা প্রস্তুত করে দিয়েছিলেন বোলাররা। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই ইতিহাস গড়লেন টাইগার ব্যাটাররা। আগের ম্যাচের নায়ক শান্ত এই ম্যাচেও মাঠ ছেড়েছেন দলকে জিতিয়েই। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ২-০ ব্যাবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের দেওয়া ১১৮ রানের টার্গেট ১৮.৫ ওভারে ৪ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় টাইগার বাহিনী।
আজ বিকেল ৩টায় মিরপুরের শের-ই-বাংলা জতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ।টস জিতে ইংলিশদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তাআইগার বোলারদের বোলিং তোপে পড়ে মাত্র ১১৭ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে মিরাজ একাই নেন ৪ উইকেট।
১১৮ রানের টার্গেট টি-টোয়েন্টিতে একেবারেই মামুলি বলাই যায়। সেই টার্গেটে ব্যাট করতে নেমেও ইংলিসজ বোলারদের বোলিংয়ে বেশ ভুগতে হয়েছে টাইগার ব্যাটারদের। ইংল্যান্ডের মতো বাংলাদেশও নিজেদের প্রথম উইকেট হারায় মাত্র ১৬ রানেই।৯ বলে ৯ রান করেই স্যাম কারানের বলে ফিরে যান লিটন দাস। টিকতে পারেননি রনি তালুকদারও। লিটনের সমান ৯ রান করেই ফেরেন জোফরা আর্চারের বলে। পাওয়ার প্লে’র মধ্যেই ৭ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে শুরুর চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর তৌহিদ হৃদয় মিলে। তবে ইংলিশদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রান তোলার গতি ছিলো মন্থর। দুজন মিলে গড়েন ২৯ রানের জুটি। দলীয় ৫৬ রানে গিয়ে আগের ম্যাচে অভিষেক হয় হৃদয় ফেরেন ১৮ বলে ১৭ রান করে। ইংল্যান্ডের হয়ে এই ম্যাচেই অভিষেক হওয়া রেহান আহমেদের বলে ক্রিস ওকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হৃদয়।
৫৬ রানে ৩ উইকেট হারালেও উইকেটের এক প্রান্তে লড়তেছিলেন আগের ম্যাচের ম্যাচসেরা শান্ত। চতুর্থ উইকেটে মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলকে নিয়ে যেতে থাকেন জয়ের দিকে। দুজন মিলে এই জুটিতে যোগ করেন ৪১ রান। দলীয় ৯৭ রানে গিয়ে আর্চারের বলে আদিল রশিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিরাজ। ফেরার আগে করেন ১৬ বলে ২০ রান।
জয়ের জন্য আর বাকি ২১ রান। উইকেটে আসেন টাইগার ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান। তবে সমর্থকদের আআজ হতাশই করেছেন সাকিব। ৩ বল খেলে মঈন আলীর বলে ফিরেছেন শুন্য রানেই। দলীয় ১০০ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বংলাদেশ। সাত নম্বরে নেমে আফিফও ব্যর্থ এদিন, ৩ বলে ২ রান করেই ফেরেন আর্চারের ১৪৮ কি.মি. গতির বোলিংয়ে। ১০৫ রানেই ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার ছিলো ১৩ রান। ১৯তম ওভারে ক্রিস জর্ডানের প্রথম বলেই বলে বাউন্ডারি হাকিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের দিকে নিয়ে যান শান্ত। ওই ওভারের চতুর্থ আর পঞ্চম বলে টানা দুই চারে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে ভেড়ান তাসকিন আহমেদ।
৪ উইকেটে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন শান্ত আর তাসকিন।আগের ম্যাচেই ফিফটি করে ম্যাচসেরা হওয়া শান্ত আজও অপরাআজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন ৪৭ বলে ৪৬ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে।
সূত্র: ইত্তেফাক