আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়নের বটিয়াপাড়া গ্রামে ঋনে জালে জড়িয়ে দিশেহারা যুবক বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। গত মঙ্গলবার সকালে সে বাড়িতে থাকা ঘাসমারা বিষ পান করে। গতকাল দুপুর ১২ টার দিকে খুলনা আড়াইশো বেড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করে। ময়না তদন্ত শেষে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে জানাজা শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার বটিয়াপাড়া গ্রামের সারোয়ার মোল্লার ছেলে। দুই সন্তানের জনক শামিম (৩০) আশা, জাগরণ, ব্রাক, সিও, সিএস, আত্মবিশ্বাস এনজিও থেকে অনেক টাকা ঋন গ্রহন করে। আয়ের সমস্ত টাকা প্রতি সপ্তাহে ঋনের কিস্তি দিতে হয়।
ঋনের জালে জড়িয়ে দিন কাটে খেয়ে না খেয়ে। স্ত্রী সন্তান নিয়ে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয়। দিশেহারা হয়ে হতাশায় ভেঙে পড়ে সে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে বাড়িতে থাকা ঘাসমারা বিষ পান করে শামিম। পরিবারের লোকজন তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে তাকে খুলনা আড়াইশ বেড হাসপাতালে রেফার করে চিকিৎসক।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে শামিম খুলনা আড়াইশো বেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করে। সেখানেই লাশের সূরতহাল রিপোর্ট শেষে হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত করা হয়। ময়না তদন্ত শেষে লাশ গ্রামে নেওয়া হয়। সন্ধ্যায় গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে জানাজা শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।
এনজিও ঋনে জড়িয়ে আত্মহত্যা করা নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। এ সময় উত্তেজিত জনতা জানান আগামী কাল থেকে গ্রামে এনজিও কর্মীদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হবে না। একাধিক এনজিওর খপ্পরে পড়ে অনেকেই সর্বশান্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।
এ ব্যাপারে খাদিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদুর রহমান জোয়ার্দ্দার লোটাস বলেন, চোখের সামনে দেখলাম কতগুলো পরিবারকে ধ্বংস হতে। একাধিক পরিবারকে কিস্তির ঋণের চাপে গ্রাম ছেড়ে অন্যথায় চলে গেছে। ঋনের জালে জড়িয়ে কেউ যেন আত্মহত্যা না করে সেই জন্য এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সকল এনজিও কর্মীদের এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না।