বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ থেকে কিছু নতুন খেলোয়াড় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
তিনি বলেন, ‘ইতিবাচক বিষয় হলো, দক্ষতা দেখানোর জন্য খেলোয়াড়দের একটি প্লাটফর্ম দিয়েছে টুর্নামেন্টটি এবং কিছু খেলোয়াড় খুবই ভালোভাবে তা কাজে লাগিয়েছে। তাই আমরা কিছু নতুন খেলোয়াড় পেয়েছি। যাদের প্রতিভা আছে এবং যা ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে পারবে।’
যদিও কোভিড-১৯ এর মধ্যে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু দেশে ক্রিকেটে ফিরেছে, তবে বাংলাদেশে ক্রিকেট প্রত্যাবর্তন অনিশ্চিত ছিল। গত সেপ্টেম্বরে শেষ মূহূর্তে শ্রীলঙ্কা সিরিজটি স্থগিত হয়। তারপরে ক্রিকেটারদের নিয়ে তিনটি দলে ভাগ করে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের আয়োজন করার সিদ্বান্ত নেয় বিসিবি। পাপনের মতে, পরিকল্পনাটি দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছে।
এই টুর্নামেন্টের মধ্যে দিয়ে ছয় মাস পর ক্রিকেটে ফিরতে সক্ষম হয় ক্রিকেটাররা। এরপর তিন দলের টুর্নামেন্টটি অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে।
বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার এই টুর্নামেন্টের মধ্যদিয়ে নজরে এসেছে। তরুণ শরিফুল ইসলাম ও সুমন খান পেস বিভাগে দারুণ পারফর্ম করেছে। তৌহিদ হৃদয় এবং ইরফান শুক্কুরের মতো তরুণরা ব্যাটিং নৈপুন্যের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন।
রবিবার ফাইনাল শেষে বিসিবি বস বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে জড়িত থাকা পুরো ম্যানেজমেন্টকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি খুব সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে। অবশ্যই আমরা নিয়মিত খেলোয়াড়দের কাছ থেকে রান আশা করেছিলাম, কিন্তু তারা পারেনি। যাইহোক, মুশফিক ভালো করেছে। শেষ ম্যাচে লিটন রান করেছে।’
বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘ইতিবাচক দিক নতুন বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ভালো করেছে। তাসকিন ফিরে এসেছে, আমি ভেবেছিলাম তাসকিন হয়তো জাতীয় দলে আর ফিরতে পারবে না। সে খুবই ভালো করেছে। রুবেলের জন্য দারুণ একটি টুর্নামেন্ট ছিল। শুধু তাই নয়, আমরা সুমন খানের মতো বোলার পেয়েছি।’
তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে ইরফান শুক্কুর ধারাবাহিকভাবে রান করেছে। প্রতিটি ম্যাচেই চাপের মধ্যে ব্যাট করতে এসে পারফর্ম করেছে সে। আরেক ছেলে, তৌহিদ হৃদয় তার প্রতিভা প্রদর্শন করেছে। এখন আমি তাকে চিনি। অলরাউন্ডার মাহাদি হাসানের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। সে ব্যাট ও বল হাতে ভালো করতে পারে। পেস বোলিংয়ে আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিলো। এই প্রথম কোনও টুর্নামেন্ট আমি দেখলাম, যেখানে পেসাররা খুবই ভালো করছে।’