মেকআপ, স্কিনকেয়ার অথবা চুলের যত্নের জন্য প্রসাধনীর অভাব নেই। আপনার রুপের ধরনভেদে প্রসাধনীও কিনতে হয় বাছাই করে। অনেকে সাজেশান নিয়ে কোনো পণ্য কিনে ফেলেন। কোনো একটা প্রোডাক্টের নাম শোনা গেল, আর সঙ্গে সঙ্গেই সেটা খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে গেলেন। কিন্তু সাজেশানের ফলে অনেক সময় ত্বকের ক্ষতিও হয়। সেজন্য ত্বকের বা বিউটি কেয়ারের জন্য প্রসাধনী কেনার আগে কয়েকটি বিষয় মনে রাখা জরুরি।
সবার প্রথমে উপাদান
অনলাইনের বদৌলতে আজকাল অনেকেই প্রলুব্ধ হয়ে পণ্য কিনে ফেলেন। প্রসাধনীতে ন্যাচারাল বা অনেক কিছু লেখা থাকলেও তা প্রসেস করা। রাসায়নিক পদার্থ দিয়েই আপনার প্রসাধনী তৈরি করা হয়। এমনটিই স্বাভাবিক। তবে প্রসাধনী কেনার ক্ষেত্রে উপাদানের তালিকা যাচাই করা জরুরি। সুগন্ধি, প্যারাবেনস ও সালফেটের মতো সাধারণ অ্যালার্জেন উপাদানগুলো রয়েছে কি না, তা দেখে নিন। এসব উপাদান অনেকের ত্বকে এলার্জির কারণ হয়ে ওঠে। প্রসাধনীর পেছনেই সব উপাদানের তালিকা রয়েছে। সেখানে আপনার দুশ্চিন্তার সুযোগ কম। যেহেতু বেশির ভাগ প্রসাধনসামগ্রীই নানা রকম রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি, তাই এগুলো এড়িয়ে চলা বেশ কঠিন। তারপরও কম রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, এমন পণ্যগুলোই কেনার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে আপনার ত্বকের সঙ্গে উপযুক্ত কোন ধরনের প্রসাধনী হতে পারে তা দেখে নিন।
অনলাইন ঘাঁটুন
অনলাইন শপে ঘুরলে হবে না। প্রসাধনী কেনার ক্ষেত্রে গুগল থেকে উপযুক্ত তথ্য নেবেন। কোন ধরনের প্রসাধনী আপনার প্রয়োজন। কোন ধরনের উপাদান আপনার ত্বককে সহযোগীতা করবে সেটাও জানা জরুরি। অনলাইনে একটু ভালোমতো ঘাটলে সহজেই আপনি বুঝতে পারবেন কোন পণ্য আপনার জরুরি।
হাইপো-অ্যালার্জিক পণ্য সম্পর্কে জানুন
অতি সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রে প্রসাধনী বাছাই করা অনেক জরুরি। এই ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রে হাইপো-অ্যালার্জিক প্রসাধনী কিনে নিবেন। এ ধরনের প্রসাধনীতে সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষতি হয় না।
পণ্য কিনুন এফপিএস যুক্ত
আপনার ত্বককে ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করার জন্য সানস্ক্রিন অপরিহার্য।প্রথমবারের জন্য কোনো নতুন পণ্য কেনার সময়, বিশেষত যদি আপনার সংবেদনশীল ত্বক হয়ে থাকে, তবে প্যাচ টেস্ট করে নিন। যদি কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা না দেয়, তবেই কিনুন।
মেয়াদ দেখা জরুরি
দেশে অনেক প্রসাধনী বিদেশ থেকে আনা হয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ে আনা হয় বলে অনেক সময় দেশীয় প্রসাধনীর মতো ফেরত দেয়ার সুযোগ থাকে না। তাই যখন কিনবেন মেয়াদ দেখে নেবেন। অনেকেই মেয়াদ দেখেন না। ফলে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি ত্বকের ক্ষতিও হয়।