শীতকালে গরম ভাতের সঙ্গে বেগুন ভাজার তুলনা হয় কি? আর যদি থাকে ধনে পাতা, পেঁয়াজ, সর্ষের তেল দিয়ে মাখা পোড়া বেগুনের ভর্তা। তাহলে তো কথাই নেই, একেবারে যেন পাতে পড়লেই জমে যায় খাওয়া দাওয়া।
এছাড়া শীতের দুপুরে খাওয়ার টেবিলে বেগুন দিয়ে মাছের ঝোল ও চচ্চরি থাকলে ভাত খাওয়ার পরিমাণ কিছুটা বেড়ে যায়।
তবে রসনায় বেগুন খাওয়ার লোভ সামলাতে না পারলেও শরীরে এর প্রভাব পড়ে কিনা তা নিয়ে ভাবেন কজন? চলুন জেনে নেওয়া যাক মজাদার এ সবজিটির ভালো ও খারাপ দিক সম্পর্কে-
বেগুনের গুন-
ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ বেগুন চোখের জন্য খুবই উপকারী। চোখের যাবতীয় রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে এমনকি দৃষ্টিশক্তি উন্নতি ঘটায়।
বেগুনে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং কে। যা শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। রক্ত চলাচল সচল রাখে।
বেগুনে আছে ডায়েটারি ফাইবার। যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে। কোলেস্টেরল থাকলে বেগুন উপকারী। বেগুন ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে শরীরকে সুস্থ রাখে।
বেগুন বেশি খেলে কী কী খারাপ প্রভাব পড়তে পারে?
যারা অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য বেগুন হয়ে উঠতে পারে ভয়ঙ্কর।
শরীরের অ্যালির্জির সংক্রমণ বাড়িয়ে তোলে বেগুন। বেগুনে আছে অতিরিক্ত পরিমাণে পটাশিয়াম। পটাশিয়াম শরীরের জন্য ভালো হলেও অতিরিক্ত ভালো নয়। অত্যাধিক হারে বেগুন খেলে বমি বমি ভাব বা বমির সমস্যা হতে পারে।
বেগুনে আছে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট। শরীরে অতিমাত্রায় অক্সালেট প্রবেশ করলে পিত্তাশয়ে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সূত্র: ইত্তেফাক