বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে যাওয়ার জের ধরে লোমান (২৩) নামের এক যুবককে রেঞ্চ দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে রক্তাক্ত জখমের অভিযোগ উঠেছে। লোমান মেহেরপুর সদর উপজেলার কলাইডাঙ্গা গ্রামের হঠাৎপাড়ার মালয়েশিয়া প্রবাসী মহিবুল ইসলামের ছেলে।
গতকাল বুধবার সকালে কলাইডাঙ্গা গ্রামের বেলে পাড়ার আতাহারের দোকানের সামনে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা বলেন, গত ৪ তারিখ সারাদেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর শহরেও ছাত্ররা এই বিক্ষোভ পালন করে। এই ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশ গ্রহণ করে লোমান। এরই জের ধরে ঐদিন সন্ধ্যায় ছাত্র লীগের বাহিনী হামলা চালিয়ে লোমানের বাড়ীর গেট ভাংচুর করে। তারপর থেকে লোমান প্রাণভয়ে আত্নগোপনে থাকে।
চারদিন আগে লোমান তার নানা বাড়ী কলাইডাঙ্গার মাঝপাড়ার আক্কাস আলীর বাড়ীতে এসে অবস্থান করে। ঘটনার দিন সকালে লোমান আতাহারের দোকানের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। তখন কলাইডাঙ্গা মাঝপাড়ার আমবার আলী ও তার ছেলে সবুজ মাঠে যাচ্ছিল। এসময় সবুজ ও লোমানের মধ্যে ভাংচুরের বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে সবুজের হাতে থাকা রেঞ্চ দিয়ে লোমানের মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। তখন প্রতিবেশীরা সবুজকে ধরে ঘরে আটকে রাখে। এ সময় সবুজ তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় বলে জানান তিনি।
পরে লোমানকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়, তাতে তার মাথায় ষোল টা সেলাই হয়। লোমানের নানা আক্কাস আলী বলেন, লোমানকে মারার একটাই উদ্দেশ্য- সে ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে গিয়েছিলো এটাই ওর অপরাধ। এজন্যই ওরা আমার মেয়ের বাড়ীঘর ভাংচুরও করেছে। ঘাতক সবুজকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয় গ্রামবাসী।
আজ বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা করা হবে বলে জানা যায়।