কোভিড-১৯ মহামারীতে বিপর্যস্ত ব্রাজিল। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। সব রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৬৮ হাজার মানুষের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। খবর এপি ও নিউইয়র্ক পোস্টের।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে উল্লেখিত দুটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ব্রাজিলে ৬৭ হাজার ৮৬০ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। যেটি গত সাত মাসে দেশটিতে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। এর আগে ১৯ জুন লাতিন আমেরিকার দেশটিতে সর্বোচ্চ ৫৪ হাজার ৭৭১ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন।
চব্বিশ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ব্রাজিলে ১ হাজার ২৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২ হাজার ৭৭১ জন।
দীর্ঘ লকডাউনের পর ব্রাজিল যখন বিভিন্ন এলাকায় স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করতে যাচ্ছে তখনই ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ আক্রান্তের রেকর্ড হলো।
পৃথিবীতে যুক্তরাষ্ট্রের পর ব্রাজিলে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড করোনায়। দেশটিতে ৮২ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। আর আক্রান্ত হয়েছেন ২২ লাখের বেশি মানুষ। এমনকি ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই সপ্তাহ আগে।
করোনায় বিশ্বব্যাপী প্রাণহানি ও আক্রান্তের পরিসংখ্যান রাখা আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার বলছে, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত লাতিন আমেরিকার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮২ হাজার ৮৯০ জন। আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ২২ লাখ ৩১ হাজার ৮৭১ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ লাখ ৩২ হাজার ১৩৮ জন।
তালিকায় ব্রাজিলের ওপরে কেবল যুক্তরাষ্ট্র, ৪১ লাখ ছাড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ব্রাজিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত-মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। দেশটিতে প্রয়োজনের তুলনায় পরীক্ষা করা হচ্ছে খুব কম।
পাঁচ মাস আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয় ব্রাজিলে। কিন্তু সংক্রমণ রোধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি। কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে লকডাউন ও অন্যান্য বিধিনিষেধের ঘোর বিরোধী দেশটির প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো। তার দৃষ্টিতে করোনাভাইরাস ‘সাধারণ ফ্লু’ জাতীয় রোগ। অথচ তিনি নিজেই করোনায় আক্রান্ত!এ কারণে তার ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
সূত্র- যুগান্তর