হাজারও কান্নাকাটি করেও প্রেম করে সদ্য বিয়ে করা স্বামীর কাছে যেতে পারলো না আলমডাঙ্গার সাহেবনগরের উর্মিলা। বয়স তাকে স্বামীর কাছ থেকে কেড়ে নিল। উর্মিলার বুক ফাটা কান্না আর আহাজারি তার স্বামীকে ধরে রাখতে পারলো না। অবশেষে স্বামীকে ছেড়ে তার পুরানো ঠিকানায় ফিরে যেতে হল।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার সাহেবনগর গ্রামের ইমান আলীর দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে উর্মিলা একই গ্রামের ফিরোজুল ইসলামের ছেলে সাইফের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাদের প্রেমকে চিরস্থায়ী রূপ দিতে তারা সিদ্ধান্ত নেয় বিয়ে করার। কিন্ত বিয়েতে বাঁধ সাথে সাইফের পরিবারের দারিদ্র। উর্মিলার বাবা-মা এ বিয়েতে একেবারেই রাজি ছিলেন না। বাধ্য হয়ে তারা পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়।
গত ১০ জুন সন্ধ্যায় উর্মিলা ও সাইফ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তারা বিয়েও করে। কিন্ত উর্মিলার পরিবার থেকে থানায় অপহরন মামলা ঠুকে দেয়। পুলিশ সাইফের পরিবারকে চাপ দিতে থাকে মেয়ে ফেরৎ দেওয়ার জন্য। স্থানীয় নেতা ও পুলিশের উপর্যুপরি চাপে পড়ে সাইফের বাবা ফিরোজুল ইসলাম যোগাযোগ করে উর্মিলাকে থানায় ফিরিয়ে আনেন।
গতকাল সন্ধ্যায় বিকেলের দিকে দুই পক্ষের লোকজন থানায় হাজির হন। উর্মিলা কাঁদতে কাঁদতে পুলিশকে জানায় সে তার স্বামীর কাছেই থাকতে চায়। স্বামীকে ছাড়া সে কিছুতেই বাঁচবে না। কিন্ত উর্মিলার বয়স ১৮ বছর না হওয়ায় পুলিশ তাকে তার বাবার হেফাজতে দিয়ে দেয়।
সন্ধ্যার আগে আগে একটি মোটরসাইকেলের মাঝখানে উর্মিলাকে বসিয়ে কান্না ঢাকতে মুখ চেপে ধরে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্ত উর্মিলা বাঁচাও বাঁচাও বলে পথচারিদের সহযোগীতা চায়। মোটরসাইকেলটি পৌরসভার নতুন বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলে পথচারীরা অপহরণ ভেবে মোটরসাইকেলটি ঘিরে ধরে।
অবশেষে বাধ্য হয়ে উর্মিলার বাবা বাড়িতে না গিয়ে পুনরায় তাকে নিয়ে থানায় হাজির হন। পরে আবারো জোর করে উর্মিলাকে তার বাবার সাথেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়।