ভারতের গ্রামাঞ্চলের ৭৫ শতাংশ মানুষের ভাগ্যে পুষ্টিকর খাবার জোটে না। সম্প্রতি ‘ফুড পলিসি’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ভারতে গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের প্রতি চার জনের মধ্যে তিন জনেরই পুষ্টিকর খাবার জোটে না।
শুধু তাই নয়, গ্রামের মানুষ যদি তাদের আয়ের পুরোটাই খাবারের জন্য খরচ করেন, তা হলেও প্রতি তিন জনের মধ্যে দুজন সবচেয়ে সস্তার পুষ্টিকর খাবার কিনতে পারে না।
৬ বছরের শাসনে ভারতের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা কতটা বেড়েছে, তা নিয়ে মাঝেমধ্যেই বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে তথ্য-পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে, গত ৬ বছরে এই ক্ষেত্রে দেশটি ক্রমশই পিছিয়েছে।
দেশটির গ্রামীণ জনসংখ্যা পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে কি না, তা নিয়ে কেন্দ্রের আর্থিক সমীক্ষাগুলো তৈরি করা হয় যে সব মানদণ্ডের ভিত্তিতে, ‘ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর (আইএফপিআরআই) এই গবেষণা তার ব্যাপ্তি বাড়িয়ে আরও বেশি মানুষকে সমীক্ষার আওতায় এনেছে।
গবেষণায় শিল্পশ্রমিকদের পাশাপাশি অদক্ষ কর্মী, শ্রমিকদের গড় দৈনিক বা মাসিক আয়ের মানদণ্ডটিও ব্যবহার করা হয়েছে। পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে ধরা হয়েছে ডেয়ারিজাত দ্রব্য, ফল, টাটকা আনাজ ও শাকসবজিকে।
এদিকে, সদ্য প্রকাশিত বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের তালিকায় ভারত বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের চেয়েও পিছিয়ে রয়েছে। এমনকি শ্রীলংকা, নেপালেরও পেছনে রয়েছে ভারত।
সূত্র: আনন্দবাজার।