করোনাভাইরাসের সংক্রণ ঠেকাতে মাস্ক না পরায় নিজের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। খুনের পর ওই ব্যক্তি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন।
গত শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শ্যামপুকুরে।
নিহত যুবকের নাম শীর্ষেন্দুর (৪৫)। এ ঘটনায় তার বাবা বংশীধর মল্লিককে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, বংশীধর মল্লিককের ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং মৃগী রোগী। প্রতি দিন বিকালে ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে বের হন তিনি।
শনিবারও তিনি বেরোনোর সময় ছেলেকে মাস্ক পরতে বলেন। কিন্তু ছেলে কিছুতেই তা পরতে রাজি হননি। বার বার বলেও রাজি না হওয়ায় তিনি ছেলের গলায় কাপড় পেঁচিয়ে হত্যা করেন।
এদিকে বংশীধরের কাছ থেকে খুনের বর্ণনা শুনেই শ্যামপুকুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা গিয়ে দেখেন, ঘরের মাটিতে পড়ে রয়েছে শীর্ষেন্দুর দেহ আর বিছানায় শুয়ে রয়েছেন এক বৃদ্ধা। তিনি শীর্ষেন্দুর মা। সেরিব্রাল অ্যাটাকের পর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে বছর ১৮ ধরে বিছানায় শয্যাশায়ী তিনি।
মায়ের সামনেই ছেলেকে বংশীধর খুন করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে বংশীধর জানিয়েছেন, গত ১৮ বছর ধরে অসুস্থ স্ত্রী এবং অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে থাকতে থাকতে তিনি বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন। আর সেই কারণেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
তদন্তকারী এক কর্মকর্তা জানান, বেসরকারি সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী বংশীধর কোনো মানসিক অবসাদের ইতিহাস এখনও পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে অসুস্থ স্ত্রী, ছেলেকে নিয়ে দীর্ঘদিন থাকার অভিজ্ঞতার সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তিনি। ছেলে মাস্ক না পরে বাইরে বেরোলে যদি সংক্রমণ হয়, সেই চিন্তাও তাকে গ্রাস করেছিল। সূত্র-যুগান্তর