ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা প্রতিরোধী টিকার দ্বিতীয় চালান আাজ সোমবার দেশে আসার কথা রয়েছে।
তবে ফ্লাইট শিডিউল ঠিক না হওয়ায় কয়টা নাগাদ পৌঁছাবে তা নিশ্চিত করতে পারছে না সংশ্লিষ্টরা।
রোববার মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র যুগান্তরকে এ তথ্য জানিয়েছে।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন গণমাধ্যমে বলেছেন, একুশে ফেব্রুয়ারি এবং রোববার থাকায় দুই দেশেই সরকারি ছুটি চলছে। এজন্য কখন টিকা আসছে সে বিষয় সোমবার সকালে নিশ্চিত হতে পারব। তবে এটি নিশ্চিত যে সোমবারই দেশে সেরামের টিকার দ্বিতীয় চালান আসবে।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি নিজে টিকা নেওয়ার পর ২২ তারিখ টিকার দ্বিতীয় চালান আসার কথা জানিয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। ওই দিন তিনি বলেন, টিকার দ্বিতীয় চালান ২১ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে আসবে বলে বলেছিলাম। ২২ তারিখেই চলে আসবে আশা করছি। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর কথা থাকলেও এবার কম আসছে। ২০ থেকে ৩০ লাখ ডোজ আসবে।
এদিকে রোববার দুপুরে সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা আদর পুনেওয়ালার একটি টুইট ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। টুইটে তিনি লিখেছেন, বিদেশি সরকার এবং রাষ্ট্রীয় নেতাদের জানাচ্ছি- ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি উৎপাদন বাড়াতে। সরকার ভারতের গ্রহীতাদের ভ্যাকসিন আগে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে আমরা আমাদের সরবরাহ ভারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখছি প্রাথমিকভাবে। সেরামের কোভশিল্ড ব্রাজিল, মেক্সিকো, বাংলাদেশে সরবরাহ হচ্ছে। অন্য দেশেও যাচ্ছে। পুনেওয়ালার এ টুইটের পর বিভিন্ন দেশে টিকার প্রাপ্যতা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
৩ কোটি ডোজ করোনার টিকা পেতে ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর কথা। দেশে টিকার প্রথম চালান আসে ২৫ জানুয়ারি।
এর আগে উপহার হিসাবে বাংলাদেশে পাঠানো ভারত সরকারের ২০ লাখ টিকা পৌঁছায় ২১ তারিখ। এ টিকা পাওয়ার পর সরকার ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথম টিকা প্রয়োগ শুরু করে। ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় গণটিকা কার্যক্রম।