ভিন্স ঝড়ে বিগ ব্যাশ ঘরে তুলল সিডনিকোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতিতে যেখানে বিগব্যাশ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল সেখানে জাঁকজমকভাবেই এই ঘরোয়া লিগ শেষ হলো।
শনিবার রাতে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এই টি-টোয়েন্টি ফ্রাঞ্চাইজি লিগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়।
এ মহারণে ইংলিশ তারকা জেমস ভিন্সের ঝড়ে উড়ে গেল পার্থ স্কোরচার্স। বিগব্যাশের শিরোপা ঘরে তুলে নিল সিডনি সিক্সার্স।
বিগব্যাশে যেন অপ্রতিরোধ্য সিডনি সিক্সার্স। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ঘরোয়া লিগের শিরোপা নিজের করে নিলেন তারা। এটি হলো তাদের টানা দ্বিতীয় শিরোপা।
ফাইনালে দুর্দান্ত লড়াই দেখেছে ক্রিকেটবিশ্ব। ম্যাচটি ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষকে পেয়েও একপেশে খেলতে পারেনি সিডনি সিক্সার্স।
ম্যাচ জয়ের নায়ক মূলত সিডনির ওপেনার জেমস ভিন্স। তার ৬০ বলে ৯৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ১৮৮ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় সিডনি সিক্সার্স। এ ৯৫ রানের মধ্যে ১০ বাউন্ডারি এবং ৩ ছক্কার মার ছিল।
জবাবে স্কোরচার্স থামে ১৬১ রানে। অর্থাৎ ২৭ রানে জয় পেল সিডনি।
পার্থ স্কোরচার্স অধিনায়ক অ্যাস্থন টার্নার টস জিতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান সিডনি অধিনায়ক মইসেস হেনরিক্সকে। ৯ রানে রানআউট হয়ে দলকে বিপদে ফেলেন ওপেনার জস ফিলিপ। এর পর ড্যানিয়েল হিউজ মাত্র ১৩ রান করে আউট হয়ে বিপদ আরও বাড়িয়ে তোলেন।
অধিনায়ক মইসেস হেনরিক্স ১৮ রান করে আউট হয়ে যান। বে অন্যপ্রাপ্ত ধরে রেখে দলীয় সংগ্রহ ঠিকই সচল রাখেন ভিন্স। দলীয় ১৪০ রানের মাথায় আউট হন এ ইংলিশ তারকা। মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তিনি।
শেষ দিকে ড্যানিয়েল ক্রিশ্চিয়ান ১৪ বলে ২০ ও কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ৬ বলে ১০ রান করলে দলের সংগ্রহ দেড়শ ছাড়িয়ে যায়। জর্দান সিল্ক ১১ বলে অপরাজিত ১৭ রানে থাকলে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান সংগ্রহ করে সিডনি সিক্সার্স।
পার্থ স্কোরচার্সের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন জিয়ে রিচার্ডসন ও অ্যান্ড্রু তায়ে। একটি উইকেট নেন ফাওয়াদ আহমেদ।
১৮৯ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালোই জবাব দিতে শুরু করেন পার্থের ব্যাটসম্যানরা। সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ৩০ রান করেন ক্যামেরন বেনক্রফট।
জস ইংলিশের ২২ ও অ্যারোন হার্ডি ২৬ রান করেন। তবে শেষ রক্ষা আর হয়নি তাদের। ৯ উইকেটে থেমে যায় ১৬১ রানে পার্থ স্কোরচার্সের ইনিংস।
সিডনির হয়ে বেন ডুয়ারসিউস নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন জ্যাকসন বার্ড, সিন অ্যাবট এবং ড্যানিয়েল ক্রিশ্চিয়ান। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে জেমস ভিন্সের হাতে।