রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদকে নিয়ে অভিযান চালিয়েছে ডিবি। শনিবার মধ্যরাতে রাজধানীর উত্তরায় এই অভিযান চালানো হয়।
এ সময় সাহেদের ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গত বুধবার ভোরে সাহেদকে গ্রেফতার দেখায় র্যাব। এদিন বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাহেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। পরে তাকে ডিবির কাছে হস্তান্তর করে র্যাব। রিজেন্টের জাল-জালিয়াতি অভিযোগের তদন্ত করছে ডিবি।
টিভি টক শোর নিয়মিত আলোচক ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে অসংখ্য সেলফি ও ছবি তুলে নিজেকে জাহির করতেন সাহেদ। কিন্তু কোভিড চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে শেষ পর্যন্ত ফেসে যান।
৬ জুলাই র্যাব সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্টের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান পরিচালনা করে। জানা যায়, করোনার ৬ হাজার ভুয়া প্রতিবেদন দিয়েছে এই হাসপাতাল। হাসপাতালের লাইসেন্সও নবায়ন করেনি। সাহেদকে এক নম্বর আসামি করে মামলা করে র্যাব। তারপরই তাকে খুঁজতে সারাদেশে তৎপরতা শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সাহেদের পৈতৃক বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের বশিরহাট। ২০০৮ সালের দিকে বহুধাপ বিপণন (এমএলএম) ব্যবসায় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা-পয়সা আদায় করে চম্পট দিয়েছিলেন তিনি। সে সময়ও আশ্রয় নিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে।
সূত্র- বিডি প্রতিদিন