মরুভূমির সবজি ‘স্কোয়াশ’ এখন চাষ হচ্ছে কুষ্টিয়ার মিরপুরে। ইউটিউবে দেখে দেড় বিঘা জমিতে বিদেশি সবজি স্কোয়াশ চাষ শুরু করেছিলেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার হাসানুল ইসলাম নামের এক যুবক।
তার নিজের দেড় বিঘা জমিতে আড়াই হাজারের মতো স্কোয়াশ গাছ রোপণ করেছিলেন। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। প্রতিটি গাছেই ৪-৫টা করে স্কোয়াশের ফলন ধরেছে। তবে নতুন সবজি হিসেবে স্কোয়াশের কদরও রয়েছে। আবহাওয়া ভালো হওয়ায় সবজির উৎপাদনও বেশ ভালো হয়েছে।
তিনি বলেন, স্কোয়াশ খুবই দ্রুত সময়ের ফসল। বীজ রোপণের ৫৫ দিনেই ফল পেয়েছি। জমি বর্গা, সেচ, জমি প্রস্তুতি, লেবার সবকিছু মিলিয়ে মোট ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। ভালো দাম হলে প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকার মতো বিক্রি হতো।
তিনি বলেন, স্কোয়াশে রোগবালাই কম, আবহাওয়াও বেশ ভালো ছিলো। দাম ভালো হলে স্কোয়াশ চাষ খুবই লাভজনক হতো। বাজারে অন্য সবজির আমদানি বেড়ে যাওয়ায় বাজারে স্কোয়াশের দাম কমেছে। এ কারণে চাষিদের কিছু লোকসান হতে পারে।
এ উপজেলায় প্রথমবারের মতো স্কোয়াশ চাষ করে কৃষক তৈয়ব আলী। তিনি জানান, স্কোয়াশ খুব ভালো হয়েছে। প্রতিটি গাছে ফুল ও ফল বেশ ভালো। আমাদের এলাকায় এটা একেবারেই নতুন। বাজারে এবার সব ধরনের সবজির দাম কম হওয়ার কারণে স্কোয়াশেরও দাম কম। তাই লোকসান হচ্ছে।
তার মতো আরও কিছু কৃষকরা জানান- এমনিতেই নতুন এই সবজিটির সঙ্গে গ্রামের মানুষের তেমন পরিচয় নেই, আবার বেশি উৎপাদন হওয়ায় বাজারেও ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে না।
মিরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, মিরপুর উপজেলার কয়েকজন তরুণ উদ্যোক্তা প্রায় ৫ একর জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে স্কোয়াশের চাষ করেছেন। তাদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এবছর আবহাওয়া সবজি চাষের অনুকূল হওয়ায় সব ধরনের সবজির উৎপাদনই বেড়েছে।
মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষ জানান, স্কোয়াশ একটি বিদেশি সবজি। তবে আমাদের অঞ্চলের আবহাওয়া স্কোয়াশ চাষের উপযোগী। আমরা এই নতুন সবজি চাষ সম্প্রসারণের চেষ্টা করছি।
স্কোয়াশ সবজি হিসেবে সুস্বাদু এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ। গতবছর মিরপুর উপজেলার কয়েকজন কৃষক পরীক্ষামূলকভাবে স্কোয়াশ চাষ করেছিলেন। তারা বেশ ভালো সাফল্য পেয়েছিলেন।