করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে মসজিদে না গিয়ে মুসল্লিদের ঘরে নামাজ পড়তে সরকার যে নির্দেশ দিয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন সময়ের আলোচিত ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী।
মঙ্গলবার আজহারীর ভেরিফায়েড পেজে দেয়া ওই স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘দেরি করে হলেও একাধিক বৈঠক শেষে, সাধারণ মুসল্লিদের মসজিদে না যাওয়ার ব্যাপারে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের শক্ত সিদ্ধান্ত এসেছে। প্লিজ, এবার অন্তত সবাই ঘরে সালাত আদায় করুন। আসলে ফতোয়া বা নির্দেশনা বেশি ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে না বলে, যতটা সহজভাবে উপস্থাপন করা যায় ততই ভালো। আরও আগে থেকেই যদি এই সিদ্ধান্তে আমরা উপনীত হতে পারতাম, তা হলে হয়তো করোনা সংক্রমণ আরও কমানো যেত। তার পরও ধন্যবাদ জানাতে চাই, এই টাইমলি ডিসিশনের জন্য।
আল্লাহতায়ালা তার দ্বীনে কোনো কাঠিন্যতা রাখেননি। এটি একটি সহজ, সাবলীল ও পরিবেশবান্ধব ধর্ম। এ জন্যই ইসলাম কালজয়ী। যুগ, সময় এবং কাল ছাপিয়ে এতটা অনন্য উচ্চতায় এ জন্যই ইসলামের অবস্থান যে, এটি যে কোনো যুগ বা সময়ের সঙ্গে সহজেই খাপ খেতে পারে।
ইসলাম ধর্মের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো যে, এর বিধান পালন করা সহজ এবং সুবিধাজনক। এ ধর্মের কোনো বিধান কখনও সমস্যা তৈরি করে না বরং সমস্যার যুগোপযোগী সমাধান করে। আর এ সমাধান উপস্থাপন করার দায়িত্ব সম্মানিত আলেম ওলামাগণের।
কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত সমাধান সময়মতো উপস্থাপন করতে যদি আলেম ওলামাগণ ব্যর্থ হন, তা হলে আলেম ওলামাগণ ধীরে ধীরে সমাজের জন্য অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বেন এবং সাধারণ ধর্মপ্রাণ লোকজনও আলেম-ওলামাদের থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলবেন। সে ক্ষেত্রে ইসলামের কোনো দায়ভার নেই, দায়ভার আমাদের।
কোরআন বলছে– ‘আর তিনি ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের ওপর কোনো সংকীর্ণতা রাখেননি’। [সুরা হজ, আয়াত: ৭৮]
‘তিনি তোমাদের জন্য সহজ করতে চান জটিল করতে চান না’। [সুরা বাকারাহ, আয়াত: ১৮৫]
তাই, আসুন সহজভাবে ইসলামকে উপস্থাপন করি। সুদূরপ্রসারী চিন্তায় ও দূরদৃষ্টি ভাবনায় কোরআন ও সুন্নাহ থেকে রহমের বাণী তালাশ করি।
মসজিদে জামাত আপাতত বন্ধ হলেও আল্লাহতায়ালা প্রতিটি ঘরকেই এখন মসজিদ বানিয়ে দিয়েছেন। সুবহানআল্লাহ!! তাই এখনই সময় আত্মোপলব্ধির, রবের দিকে ফিরে আসার এবং প্রভুর দুয়ারে হাজিরা দেয়ার। পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাসায় জামাতে সালাত আদায় করুন। সমাজ বদলে যাবে ইনশাআল্লাহ।’
সুত্র-যুগান্তর