মেহেরপুরের মুজিবনগরের বালি ও মাটি খেকো জাহাঙ্গিরের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে। অবৈধ বালি উত্তোলন ও বিক্রি, বিভিন্ন জায়গার মাটি জোর পূর্বক কাটা, অন্য মাটি ও বালি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়সহ ইটভাটা মালিকদের কাছে সুদের বিনিময়ে টাকা দেয়াসহ নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এক ফল ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদাবাজীর অভিযোগে মামলাও হয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর গা ঢাকা দিয়েছে বলে এলাকায় গুঞ্জন। তবে অন্তারালে থেকে অবৈধ মাটি ও বালির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানাগেছে।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর সুদৃষ্টি থাকায় মুজিবনগরে অবৈধ মাটি ও বালি উত্তোলন ও বিক্রির একচ্ছত্র আদিপাত্য ছিল জাহাঙ্গিরের। মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা হলেও তার আদিপাত্য ছিল পুরো উপজেলা জুড়ে। জাহাঙ্গীরের অনুসারিদের নিয়ে সে গড়ে তোলে সিন্ডিকেট। তার আর্শিবাদ ছাড়া কেউই মাটি ও বালির ব্যবসা করতে পারিনি। পুরো উপজেলায় যেখানেই এইচবি রাস্তা নির্মান হোক না কেন, মাটি ও বালি জাহাঙ্গীরের কাছ থেকেই নিতে হবে। তা না হলে প্রতি গাড়িতে ১শ টাকা চাদা দিতে হবে, এটা ছিল জাহাঙ্গীরের আইন।
জান মোহাম্মদ নামের একজন জানান, জাহাঙ্গীর অন্য বৈধ ব্যবসাীদের সে জিম্মি করে ফেলেছে। তার অনুমতি ব্যতীত কেউই ব্যবসা করতে পারবে না বলে নির্দেশ দেই সে। এছাড়াও অনেকেই তার নির্যাতনের শিকার হয়ে পথে বসেছে।
ফিরোজ নামের একজন জানান, মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান, আনন্দবাস, স্বরসতিখাল ও বিশ^নাথপুর ঘাটের মাটি ও বালি সে ক্ষমতার দাপটে তুলে বিক্রি করেছে। একই এলাকার মোসারফ নামের আরেক জন জানান, আমি ৮০০শ গাড়ি মাটি সরকারি রাস্তার ধার দিয়েছি। প্রতি গাড়িতে ১শ টাকা করে জাহাঙ্গীরকে চাদা দিতে হয়েছে।
রাস্তার এইচবি করার জন্য নির্ধারিত কিছু পিআসি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য জানান, গোটা উপজেলায় যেখানেই এইচবি করণ আর পাকা রাস্তা নির্মান করা হোক না কেন, জাহাঙ্গীরের সাথে ইট, বালি ও মাটি নিতে হবে। তা না পিআইসি বাতিল না হয় কাজে বাধা দিতো।
শুধু তাই নয় স্থানীয় বেশ কিছু ইটভাটা মালিকও জাহাঙ্গীরের কাছে জিম্মি ছিল। প্রতি সিজনে দাম যাই হোক দুই নাম্বার ইট দিতে হবে ১১ হাজার টাকাই। এবং সেই ইট বিভিন্ন ঠিকাদার ও পিআইসির কাছে বিক্রি করে ১৪ হাজারে।
তার এসব অপকের্মর ব্যাপরে জানতে উপজেলা প্রশাসনের কাছে জানতে চাইলে অফিসিয়ালি কেউই মুখ খুলতে চাইনি। তবে কয়েকজন জানান, সাবেক মন্ত্রীর ভয়ে জাহাঙ্গীরের অপকর্মের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীরের সাথে যোগাযোগ করা তিনি বিএনপি ও জামায়ত নেতাদের নাম করে সাংবাদিকদের নিউজ না করতে চাপ দেন। সেই সাথে সকল অভিযোগের কথা অস্বিকার করে।