মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালীতে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা রমজান আলীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে সরকারি কর্মকর্তা সেলিম রেজাসহ তার গ্রুপের বিরুদ্ধে।
সোমবার সকাল ও আজ মঙ্গলবার সকাল দু’দফা হামলা চালিয়েছে অভিযুক্তরা। একই পরিবারের দুই বাড়ির মাঝখান দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা তৈরীকে কেন্দ্র করে এই হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও মারধরের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত সেলিম রেজা একই এলাকার শাহাবুদ্দিনের ছেলে। তিনি মুজিবনগর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
জানা গেছে, সেলিম রেজা ও মজিদ মন্ডলের ছেলে মিজার নেতৃত্ব বাদলের ছেলে মিনা, চিনিবাশ, ফারুল, মিনার ছেলে তামিম, তৌফিক, আশাফদ্দিনের ছেলে আরিফ, আবেদ আলীর ছেলে মুনির, ওহাব মেম্বারের ছেলে বিপ্লব, মোজালের ছেলে রেকাব, গাফিরুল, তারেক, তারেবের ছেলে জহির, মহাসিন মন্ডলের ছেলে ইউনুস, মজিদ মন্ডলের ছেলে আলাউদ্দিন মেম্বার এবং নুর ইসলামের ছেলে সামাদের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হামলাকারীরা বাড়িঘরের টিন, টালি, বাড়ির প্রধান দরজা কুপিয়ে ঝাজরা করাসহ ব্যাপক ভাংচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। হামলায় আশরাফুল, আবুল, সাঈদ, তহমিনা ও ফাইমা আহত হয়েছে। বিগত কয়েক বছর আগে একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা চালিয়ে আশরাফুলকে গুরুতর জখম করা হয়। সেই মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।
আবারও হামলা ও মৃত্যু ভয়ে বর্তমানে বাড়িটি পুরুষ শূণ্য অবস্থায় আছে।
প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা রমজান আলীর স্ত্রী খালেচা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, অর্থ, পেশিশক্তি ও রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক দুই বাড়ির মাঝখান দিয়ে তারা চলাচলের রাস্তা নিতে চাই। এর আগেও তারা জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করে। সেটি জনপ্রতিনিধিরা বসে ঠিকঠাক করে দিয়ে যায়। তারপরও তারা তাদের সিদ্ধান্ত না মেনে জোর করে এই রাস্তা নেবে। আদালত থেকে রায় পাওয়ার পরও তারা তা না মেনে আবারও রাস্তা জবরদখলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কিছুদিন চুপ থাকার পর গতকাল ও আজকে তারা সঙ্গবদ্ধভাবে হামলা চালিয়ে আমার বাড়িঘর ভাংচুর, মারধর ও লুটপাট চালায়। বৃষ্টির মতো করে তারা চারিদিক থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এঘটনায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সেলিম রেজা কথায় কথায় বলে আমাদের মন্ত্রী আছে। সবই তারা মন্ত্রীর বলে করছে। এখন সুলতান, শহিদুল ও হাফিজুলকে মারার জন্য তারা যুক্তি করছে। আমরা অসহায় এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
মোনাখালী গ্রামের অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, সেলিম রেজা মুজিবনগর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু তিনি কর্মস্থলে না গিয়ে অধিকাংশ সময় নিজ গ্রামেই থাকেন। কেউ কিছু বললে, প্রতিমন্ত্রী তাঁর ফুফাত ভাই পরিচয় দিয়ে দম্ভোক্তি প্রকাশ করেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সেলিম রেজা বলেন, একজন মানুষ অন্যকে দোষারোপ করতেই পারে। আমি এর সাথে সম্পৃক্ত না।