মুজিবনগরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় স্বামী-স্ত্রী আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোর বেলায় উপজেলার ভবেরপাড়া গ্রামের ইনসান আলীর বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘুমিয়ে থাকা ইনাসান আলীর মেয়ে আসমা খাতুন (২৬) ও তার জামায় রাকিব হাসান (৩৫) মারাত্মক জখম হন। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, আহত রাকিব হাসানের মাথায় ১৬ টি সেলাই হয়েছে। রাকিব হাসানের স্ত্রী আসমা খাতুনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আহত আসমা খাতুন জানান, দির্ঘদিন ধরে আমাদের দুপক্ষের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। পরে গত বৃহস্পতিবার গ্রাম্য সালিসে বিষয়টি মিমাংসা হয় এবং আমাদের জমি পাওনা হয়। কিন্তু আজ শুক্রবার ভোর বেলায় ভবেরপাড়া গ্রামের মল্লিকের ছেলে মোতালেব,হেলাল নাতী মিনারুল, মোতালেব এর স্ত্রী শাহানারা মোতালেবের খালাতো বোন মিনুয়ারা ইনসান আলীর বাড়ির পকেট গেট ভেঙ্গে আচমকা বাড়িতে প্রবেশ করে আমাদের উপর দেশিয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় বাড়িতে বেড়াতে আসা ইনসান আলীর জামায় রকিব হাসান এর মাথায় আঘাত করে আহত করে স্বর্নের চেইন,ঘরে থাকা আড়াই লাখ টাকা তারা নিয়ে যায়। আমাদের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। তানিয়ারা উদ্ধার করে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে তারা মামলা করবেন বলে প্রতিবেদককে জানান, স্থানীয় কয়েকজন জানান, সালিসে মিমাংসা হওয়ার পরও মারামারির ঘটনা ঘটে। আমরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোতালেব জানান, আমরা তাদের কোন মারধর করিনি। কিভাবে মাথা ফাটলো আমি জানিনা। টাকাপয়সা কোন কিছুই নিইনি। সব অভিযোগ মিথ্যা। আমাদেরকে হেনেস্তা করার জন্য তারা এই মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে।
এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল আলম জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।