নৌকা ও ট্রাক প্রতীক সমর্থনকারী দুই চাচাতো ভাইয়ের বাগবিতণ্ডা। বাগবিতণ্ডায় সৃষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুই প্রতীকের নির্বাচনী শিবিরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ আনসার ও বিজিবি সদস্যরা। অতঃপর ভ্রাম্যমান আদালত একজনকে জরিমানা করে। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায়।
আজ শুক্রবার রাতে রিমন ও বাবু ২ চাচাতো ভাই ট্রাক ও নৌকা প্রতীকের সমর্থনে কাজ করা নিয়ে পরস্পরের মধ্যে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। এক পর্যায়ে এই বাগবিতন্ডায় সাবেক মেম্বার দিলিপ মল্লিক ও আনন্দ খুড়ি, শিবা মল্লিক এবং তোয়াজ যুক্ত হয়।
এক পর্যায়ে ভবেরপাড়া গ্রামে ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জেমস বাবু মন্ডল অভিযোগ করেন নৌকা প্রতীকের কাজ করার কারনে তাকে মারধর করা হয়েছে এবং তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ, আনসার ও বিজিবি সদস্যরা।
জেমস বাবু মন্ডল অভিযোগ করে ভ্রাম্যমান আদালতকে বলেন, তিনি ভ্যানে করে বাড়ি যাচ্ছিলেন। এসময় ভবেরপাড়া মোড়ে পৌঁছালে ট্রাক প্রতিকের সমর্থক সাবেক মেম্বর দিলিপ মল্লিক ও আনন্দ খুড়ি, শিবা এবং তোয়াজ আমাকে বলে তুই নৌকা করিস, তোকে ট্রাক প্রতিকে ভোট করতে হবে। এসময় তাকে মারধর করা হয় এবং টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। আসেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় তার পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা হারিয়ে গেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
অভিযোগ পেয়ে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আজগর আলী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুস সাদাত রত্ন, মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ উজ্জ্বল দত্ত সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এবং সাবেক মেম্বার দিলিপ মল্লিক ও আনন্দ খুড়ি,শিবা এবং তোয়াজকে আটক করে।
এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযোগকারী এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাক্ষীদের বক্তব্য শুনে শিবা মন্ডল কে ৫০০ টাকা জরিমানা করে এবং দিলীপ মল্লিক, আনন্দ খুরী ও তোয়াজের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়াতে তাদের ছেড়ে দেয়।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা শেষে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নি কর্মকর্তা আজগর আলী বলেন, ‘ভুক্তভোগীর বক্তব্য শুনে, ভ্রাম্যমান আদালতে ১৮৬০ সালের দন্ডবিধির একটি ধারাতে অভিযুক্ত শিবা মন্ডলকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে। এবং ভবিষ্যতে একই কাজ না করতে সতর্ক করেছে।’
সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বাবু মণ্ডলের আরেকটি অভিযোগ তার পঞ্চাশ হাজার টাকা হারিয়ে গেছে। বিষয়টি ভ্রাম্যমান আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত। এজন্য বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করার জন্য তাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ‘