মেহেরপুরের মুজিবনগরে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায় গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন সজিব মোল্লা ও দেলোয়ার হোসেন নামের দুই যুবক। ভালো বেতনের কাজের আশায় গিয়ে ৩ মাসের মধ্যে সব কিছু খুইয়ে নিঃস হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তারা।
এ ঘটনায় মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের সাদ্দাস হোসেন নামের এক দালালের বিরুদ্ধে মুজিবনগর থানায় আলাদা আলাদা অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
প্রতারণার শিকার মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের হজরত আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন তার লিখিত অভিযোগে বলেন, উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের আত্তাব উদ্দীনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন দুর্ধর্ষ ও প্রতারক। প্রতারক সাদ্দাম হোসেন নিজেকে আদম ব্যবসায়ী হিসেবে দাবি করে বিভিন্ন দেশে চাকরি দিয়ে থাকেন। ৬০ হাজার বাংলা টাকা বা ২৫৫০ লেই এর বেতনে ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকের কাজ দেবো। তার সরল কথায় বিশ্বাস করে সহায় সম্বল বিক্রি করে ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকায় চুক্তি করি। পরে রোমানিয়া গেলে কোন দায়িত্ব না নিয়ে সে দেশের একটি ৯তলা বিল্ডিংএর একটি কক্ষে তালা মেরে রেখে দিতো। পরে হাতে পায়ে ধরে দেশে পাঠিয়ে দেয়ার অনুরোধ করি সাদ্দামকে। কিছুদিন পর বিভিন্ন কাগজপাতিতে সাক্ষর করে ও দেশে আমার বাবা-মার লোক মারফতে সাক্ষর নিয়ে আমাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়। সেই সাথে ৫ লাখ টাকা ফেরত দেবার আশ^াস দেয়। পরে দেশে এসে সে টাকা চাইলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, আমার সাথে যখন তার চুক্তি হয় তখন সে দেশেই নিজ বাড়িতে ছিল। এখন সে ইতালিতে আছে।
একই অভিযোগ করেন উপজেলার রামনগর গ্রামের আসলাম মোল্লার ছেলে সজিব মোল্লা। তিনি বলেন, রোমানিয়াতে যাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে আমার ভিসা বাতিল হয়ে যায়। পরে সাদ্দাম আমার কাছে আরও ৪ লাখ টাকা চাই, ইতালিতে পাঠিয়ে দেবার কথা বলে। কিন্তু আমার কাছে টাকা না থাকায় দিতে অপরাগতা প্রকশ করি। তখন সে আমাকে একটি বদ্ধ ঘরে তালা মেরে রেখে দিতো। পরে আমি সুযোগ বুঝে খাবার কেনার নাম করে পালিয়ে সে দেশের পুলিশের আশ্রয় নিই। কিছুদিন পর আমাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে দালাল সাদ্দামের সাথে ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যারা দেশে ফিরে গেছে তারা নিজ দায়িত্বে ফিরে গেছে। আমার কাছে লিখিত প্রমান আছে।
এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদি রাসেল জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। শেষ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।