মেহেরপুরের মুজিবনগরে দীর্ঘ চার বছর ধরে নিখোঁজ মানসিক প্রতিবন্ধী মিন্টু বাগচি মুজিবনগরের স্থানীয় সাংবাদিক হাসান মোস্তাফিজুর রহমান(শের খান) ও সানোয়ার হোসেন ডালিম এর সহযোগিতার মাধ্যমে ফিরে পেয়েছে তার পরিবার।
মিন্টু বাগচি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার হাইসুর গ্রামের নারায়ণ বাগচির ছেলে।
এ সম্পর্কে স্থানীয় সাংবাদিক হাসান মুস্তাফিজুর রহমান (শের খান) জানান, গত শনিবার সহকর্মী ডালিমের মাধ্যমে জানতে পারি যে শুক্রবার রাতে মুজিবনগর থানার টহল পুলিশ একজন মানসিক প্রতিবন্ধীকে আহত অবস্থায় মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেছে।
গতকাল শনিবার সকালে আমরা হসপিটালে গিয়ে তাকে সেখানে ভর্তি অবস্থায় পাই এবং বিভিন্নভাবে তার সাথে কথা বলে তার পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা করি এবং জানতে পারি যে তার নাম মিন্টু বাগচি তার বাড়ি হাইসূর যেহেতু নামটা আমাদের অপরিচিত সেহেতু আমরা অনেক চেষ্টার পর জানতে পারি যে গ্রামটি গোপালগঞ্জ জেলায় এবং কাশিয়ানী উপজেলায়। পরে আমি আমার ভোরের কাগজের কাশিয়ানী উপজেলা প্রতিনিধি মামুন ভাই কে ফোন দিলে তিনি সেখানকার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং হাইসূর গ্রামের একটি বৃদ্ধাশ্রমের পরিচালক কে জানান। বেলা চারটার দিকে মিন্টু বাগচীর পরিবার আমার সাথে যোগাযোগ করে এবং তার চাচাতো ভাই পার্থ বাগচী শনিবার রাত দশটার সময় মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ আসেন তার কাছ থেকে আমরা জানতে পারি যে মিন্টু বাগচী ২০১৮ সাল থেকে মানসিক সমস্যায় ভুগছে তার চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তার মা তাকে ইন্ডিয়ায় নিয়ে গিয়েছিল ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সেখান থেকে সে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি সে কিভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছে তা আমরা বলতে পারব না। ঈশ্বরকে অনেক ধন্যবাদ যে দীর্ঘ চার বছর পরে আমরা আমাদের ভাইকে ফেরত পেয়েছি।
পার্থ বাগচি আজ রবিবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে দীর্ঘ চার বছর পর তার ভাই মিন্টু বাগচিকে নিয়ে সে নিজ গ্রাম গোপালগঞ্জের হাইসূরের রওনা হয়।