মেহেরপুরের মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং নওগাঁয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নতুন দুটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে আলাদা দুটি বিল গত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ বিল–২০২৩’ এবং ‘মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়, মেহেরপুর বিল–২০২৩’ আলাদাভাবে জাতীয় সংসদে তোলেন। পরে বিল দুটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিল দুটিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আদেশ ১৯৭৩ এর বিধান পরিপালন করতে হবে। রাষ্ট্রপতি হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। আচার্য নির্ধারিত শর্তে স্বনামধন্য একজন শিক্ষাবিদকে ৪ বছরের জন্য উপাচার্য পদে নিয়োগ করবেন।
তবে উপাচার্য হিসেবে কেউ দুই মেয়াদের বেশি সময়ের জন্য নিয়োগ পাবেন না। আচার্য যে কোনো সময় উপাচার্যের নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
বিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির শর্তাবলী নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বেতনভোগী শিক্ষক ও কর্মচারী সংসদ সদস্য বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইলে, মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে ইস্তফা দেবেন।
বিল দুটির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা, বিশেষ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও পঠন–পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৯ ডিসেম্বর ২০২০ এ বিশ্ববিদ্যালয়টি মেহেরপুর সদরে স্থাপনের জন্য অনুমোদন প্রদান করে।
এর আগে ২০২০ সালের ২৫শে জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিকট মেহেরপুর সদরে ‘মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের বিষয়ে জরিপ প্রতিবেদন চায়। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পায়।