মূল ধারার সিনেমা ব্যবসায় নামছে প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান অ্যাপল কম্পিউটার। আর নিজেদের অর্থায়নে নির্মিত সেসব সিনেমা হাজার হাজার হলে মুক্তি দেওয়া এবং মাসব্যাপী চালানোর পরিকল্পনাও করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ জন্য বার্ষিক ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে অ্যাপল। প্রতিষ্ঠানটির এই পদক্ষেপের অর্থ হলো অ্যাপল স্টুডিও ও অ্যাপল টিভি প্লাসের বাইরে দর্শকেরা এখন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানটিকে সিনেমা ব্যবসায় বড় বিনিয়োগকারী হিসেবে দেখতে পাবেন।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপলের এই পরিকল্পনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এই ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত বা এ–সংক্রান্ত কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দেয়নি অ্যাপল। সিনেমা ব্যবসায় যেহেতু অ্যাপল নতুন, তাই হলে সিনেমা মুক্তিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য স্টুডিওর সঙ্গে অংশীদারত্বের ব্যাপারে আলোচনা করছে অ্যাপল।
ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছর মুক্তি পাওয়া ম্যাথিউ ভাওগনের থ্রিলার সিনেমা ‘অরগাইল’ অ্যাপলের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হতে যাচ্ছে, যা বিভিন্ন সিনেমা হলে কমপক্ষে এক মাস চলবে। তবে এবারই প্রথম অ্যাপল তাদের সিনেমা প্রথাগত সিনেমা হলে চালাচ্ছে না।
এদিকে অ্যামাজনও সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে তারাও সিনেমা ব্যবসায় বার্ষিক ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে এবং তাদের সিনেমাও প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেবে। প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর সিনেমায় বিনিয়োগের খবর এমন সময় এল, যখন ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের আধেয় (কনটেন্ট) নির্মাণের ব্যয় ও সম্ভাব্য টেকসই লাভের হিসাব-নিকাশ করছে। এ ছাড়া সিনেমা বাজারে সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী নেটফ্লিক্স ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা এখনো প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়।
অন্যদিকে হলে সিনেমা মুক্তির এই উদ্যোগ অ্যাপলের টিভি প্লাসের গ্রাহক বাড়াবে কি না, তা বলা কঠিন। কিন্তু এটা কল্পনা করা যাচ্ছে যে হলে সিনেমার বাড়তি মুক্তি জনসাধারণের মনে অ্যাপলের অবস্থান আরও শক্ত করবে এবং নতুন সিনেমা মানুষজনকে সিনেপ্লেক্সে নিয়ে যাবে।
সূত্র : দ্য ভার্জ