মেহেরপুর সদর উপজেলা ইসলামপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধে ভাইয়ের হাতে আরেক ভাই মহাব্বত আলী ও তার ছেলে বাহারুলকে রড ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সকালে ইসলামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মেহেরপুর সদর থানায় কাশেমের ছেলে নজুল ও তার ছেলে আশানুর, অন্য ভাই ওয়াদ আলির ছেলে সাজ্জাদ আলীর নামে মামলা হয়েছে।
জানা গেছে, জমি বেচাকেনা বিরোধের জের ধরে ভাইয়ে হাতে ভাইকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলার আমদাহ ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মহাব্বত আলীর সাথে। মহাব্বত আলীর বাড়ির জমি বিক্রয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল তার ভাই নজুল মিয়াসহ অন্য ভাইদের সাথে।
এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হতো। এক সময় মহাব্বত আলী জমি বিক্রয়করার সিদ্ধান্ত নেয়। তার ভাইয়েরা জমি ক্রয় করবে বলে দীর্ঘ দিন ঘুরাতে থাকে।পরবর্তীতে মহাব্বত আলী জমি বিক্রয় করা জন্য বাড়িতে গেলে নজুল ও তার ছেলে আশানুর, অন্য ভাই ওয়াদ আলির ছেলে সাজ্জাদ আলী রড ও রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে তাকে।
মহাব্বত আলী বলেন, আমি অনেক বছর আগে আমদাহ গ্রামে আমার শশুর বাড়িতে চলে আছি। সেই থেকে আমি আমদাহ গ্রামে বসবাস করি। ইসলামপুরে আমার বাপরে বাড়ি। বসত বাড়ির পৈতৃক কিছু জমি আমার নামে রয়েছে। সেই জমি আমার ভাইয়েরা ক্রয় করবে বলে আমাকে জানায়। ১টি বছর আমাকে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াই আজ নেব না কাল নেব বলে। আমার টাকার প্রয়োজন তাই আমি ভাইকে বলি জমি নেবে কি না। তখন তারা রেগে বলে জমি নেব না। কে নেয় দেখি তোর জমি।
আজ সকালে আমি ইসলামপুর আমার বাড়িতে গেলে নজুল ও তার ছেলেসহ অন্য ভাইয়ের ছেলেরা আমাকে ও আমার ছেলে বাহারুলকে হত্যার উদ্যেশে দামদা আর রড দিয়ে কোপাতে থাকে। এক সময় আমি মাটিতে পড়ে গেলে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ দারা খান জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে সদর উপজেলার ইসলাসপুর গ্রামে ভাইয়ে ভাইয়ে মারামাতিতে দুজন আহত হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।