মেহেরপুরের বিভিন্ন জায়গাতে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে অধিকাংশ করাতকল। প্রতিদিনই চেরাই করা হচ্ছে শতশত গাছ। উজাড় হচ্ছে বনাঞ্চল। আর এসব করাতকল নিয়ন্ত্রন করতে প্রশানের কোন তদারকির তোয়াক্কা করছেনা করাতকল মালিকরা।
লাইসেন্স এর জন্য বারবার তাগাদা দিলেও কর্তৃপক্ষের তাগাদা না মেনেই চলছে করাত কলের কার্যক্রম। তবে করাত কল মালিকদের সরকারি লাইসেন্স এর আওতায় আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবী করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানাগেছে,বনবিভাগের তালিকা অনুযায়ী মেহেরপুর জেলায় মোট ৬৪ টি করাতকল কল রয়েছে। এর মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলায় ২৬ টি করাত কল রয়েছে। লাইসেন্স আছে ১৯ টির,আবেদন জমা নেয়া হয়েছে ২ টির। বাঁকি ৫ টি করাতকল মালিকদের আবেদন করতে বলা হলেও অদ্যবধি লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করেনি। মুজিবনগর উপজেলায় মোট করাত কলের সংখ্যা ১৩ টি। লাইসেন্স আছে ৩ টির। ১ টি করাতকল আবেদন করে সাইলসেন্স জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাকী ৯ টি করাতকল মালিকরা লাইসেন্স ছাড়াই চালাচ্ছেন করাতকল।
এদিকে গাংনী উপজেলায় করাতকল রয়েছে ২৫ টি। লাইসেন্স রয়েছে ৫টির। আবেদন প্রক্রিয়াধীন ১২ টি। ৮ টি করাতকল মালিক আবেদন করেনি। ২০ টি করাতকল চলছে অবৈধ ভাবে। করাতকল মালিকরা জানান. সরকারি লাইসেন্স নিতে অনেক জটিলতা বা ভোগান্তিতে পড়তে হয় যার ফলে লাইসেন্স করা হয়নি। তবে দ্রত লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করব্ ো। করাতকল স্থাপনে বিধিনিষেধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ২০১২ সালে সরকার একটি আইন প্রনয়ন করেছেন। আইনে বলা হয়েছে লাইসেন্স না নিয়ে কোন ব্যাক্তি করাতকল চালাতে পারবেন না। তবে সরকারি আইন থাকা সত্বেও মেহেরপুরে অবৈধ করাতকল মালিকরা তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছেন এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের।
সুত্র জানায়, লাইসেন্স করতে হলে বিভাগীয় বনবিভাগ করাত কলের লাইসেন্স দিয়ে থাকেন। স্ব-স্ব উপজেলার বনবিভাগ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে আবেদন করতে হবে।
মেহেরপুর জেলাপ্রশাসক লাইসেন্স কমিটির জেলা সভাপতি। স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমিটির সদস্য।
গাংনী উপজেলা ফরেস্ট অফিসার হামিম হায়দার বলেন, লাইসেন্সের জন্য আমরা বারবার তাগাদা দিয়ে আসছি,তবে করাতকল মালিকরা আমাদের তাগাদা তুচ্ছ করে অবৈধ ভাবেই চালাচ্ছেন তাদের করাত কল।
জেলা ফরেস্ট অফিসার জাফরউল্লাহ জানান, যেকল করাত কল মালিকদের লাইসেন্স নেই তাদের দৃত লাইসেন্স এর আওতায় আনতে নির্দিষ্ট সময় নির্ধারন করে দেয়া হবে। যদি নির্ধরিত সময়ের মধ্যে লাইসেন্স না করেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
মুজিব নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ওসমান গনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের একটি মিটিং হয়েছে খুব শিঘ্রই করাতকল মালিকদের লাইসেন্স এর আওতায় আনা হবে। এবিষয়ে সকল করাতকল মালিকদের একত্রিত করে সরকারি নিয়ম বা আইন-কানুন মেনেই করাত কল চালাতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোঃ আতাউল গনি বলেন, অবৈধ করাতকল মালিকদের ব্যাপারে ইতোমধ্যে সোচ্চার হয়েছি কয়েকদিনের মধ্যে কয়েকটি করাত কল মালিকদের মোবাইল কোর্টের আওতায় এনে জরিমানা করেছি। যারা লাইসেন্স করেনি তাদেরকেও লাইসেন্স এর আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। তবে খুব শিঘ্রই সকলকে লাইসেন্স এর আওতায় আনা হবে।
মেপ্র/ইএম