মেহেরপুরের কুতুবপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও মহরমের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মহররম’ শব্দের অর্থ সম্মানিত। ইসলামের ইতিহাসে এই মাসের সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এসব স্মৃতির সম্মানার্থে এই মাসকে মহররম বা সম্মানিত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কোরআনুল কারিমে রয়েছে, ‘আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর কাছে মাসের সংখ্যা ১২, এর মধ্যে ৪টি মাস (মহররম, রজব, জিলকদ, জিলহজ) আর মহরম মাসের ১০ তারিখ কে আশুরার দিন বলা হয়েছে।
আশুরা অর্থ দশম তারিখ। ইসলামি পরিভাষায় মহররমের ১০ তারিখকে আশুরা বলা হয়। পবিত্র আশুরা ইসলামের অন্যতম ফজিলতপূর্ণ দিন। সৃষ্টির শুরু থেকে ১০ মহররম তথা আশুরার দিনে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
হাসান হুছাইন এই দিনেই কারবালা ময়দানে শহীদ হয়েছিলেন।
সর্বপরি এই দিন কে ঘিরে বছরের পর বছর জাঁকজমকপূর্ণ মেলার আয়োজন করে আসছে এই মেহেরপুরের কুতুবপুর গ্রাম। এই দিনটিকে ঘিরে এই গ্রামের মানুষ জামাই দাওয়াত করে খাওয়া নো সহ এক সময় ভালো মন্দ খাবারের আয়োজন করতেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে তা এখন বিলুপ্তির পথে কিন্তু রয়ে গেছে যুগ যুগ ধরে করে আসা এই মেলা যেখানে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামের দর্শনার্থীরা আসেন মেলা উপভোগ করতে। ফাকা জায়গা ভরে বসে পড়ে দোকানপাট, আর সেই দোকানপাটে কেনাকাটায় মগ্ন আছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত দর্শনার্থীরা এ যেন পা ফেরা মত জায়গাও ফাকা নেই।এছাড়াও ছোট ছোট বাচ্চা দের বিনোদন জন্য রয়েছে নাগরদোলা ।
স্থানীয় দের মধ্যে থেকে সাঈদ হোসেন জানান আমার বয়স ২৮ বছরে আমি বুদ্ধি হয়ে দেখে আসছি এই মেলা এবং বাবা দাদাদের মুখেও শুনেছি এই দিনটি পালন করে আসছেন অনেক আগে থেকেই।
কুতুবপুর গ্রামের করিম মিয়া বলেন এই মেলা আমাদের গ্রামকে পরিচিত করে তোলে। এবং এই মেলা কে ঘিরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে থেকে আমাদের গ্রামে পদার্পণ করেন বিভিন্ন দোকান পাটে বোরে উঠে তরুন ছেলেরাও এটি উপভোগ করে যা আমাদের ভালো লাগে।
জাফর ইকবাল জানান আমি এসেছি গাংনী থেকে এই ছেলে মেয়ে নিয়ে ঘুরতে এর আগেও অনেক এসেছি এই গ্রামের মেলা দেখতে তবে এবারের মেলাটি অনেক জাকজমক হয়েছে আমাদের বভালো লাগছে। প্রতি বছরেই এই মেলার আয়োজন করুক এই গ্রামের মানুষ সেই প্রত্যাশা করছি।