মেহেরপুরের গাংনী পল্লী বিদ্যুতের সাব-জোনাল অফিসের ভুতুড়ে বিলে দিশেহারা হামিদুল নামের একটা চা বিক্রেতা। চা বিক্রেতা হামিদুল ইসলাম ছাতিয়ান কামার পাড়ার বাসিন্দা এবং বাজারে তার একটি ছোট্ট চায়ের দোকান রয়েছে।
হামিদুল ইসলামের অভিযোগ, আমি একটি ছোট্ট চায়ের দোকানদার। সে গত আগস্ট মাস থেকে এ পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলের কাগজ দেখিয়ে বলে আমার বাড়ির বিচারে প্রতি মাসে ৪শত থেকে ৫শত টাকা বিল আসে।
হঠাৎ করে জানুয়ারি মাসে আমার নামে বিল আসে ১২ হাজার টাকা। আমি অফিসে গিয়ে ডিজিএম কম স্যারের কাছে অভিযোগ দিলে তিনি অফিসের এক নারী সদস্যকে ডেকে কী যেন বলল। ওই নারী সদস্য আমাকে একটি ৫ হাজার টাকার বিল এর কাগজ হাতে ধরিয়ে বলল তিন মাসের কিস্তি করে পুরো বিলটি শোধ করে দিবেন।
আমি কিভাবে এই বিল পরিশোধ করব তা ভেবে পাচ্ছি না। এ সময় অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, এই অফিসার যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন রকম সমস্যা ও গ্রাহক হয়রানি হচ্ছে। এই গ্রাহক হয়রানির সুষ্ঠু সমাধানের দাবি জানান তারা।
বামন্দী সাব-জোনাল অফিসের ডিজিএম কম শামীম হোসেন মিটার রিডার এর ঘাঁড়ে দোষ চাপিয়ে দায় এড়িয়ে যান। বামন্দী বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবু বিষয়টি মীমাংসা করার আশ্বাস দেন।