মসজিদ ভেঙ্গে পুনঃনির্মাণের বিরোধিতা করে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের কাছে আবেদন করেছে মেহেরপুর জেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের টঙ্গী গ্রামের মধ্যপাড়া গ্রামের অধিবাসীরা।
আবেদনের অনুলিপি সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫৬ সালে মধ্যপাড়া গ্রামের মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। মসজিদটি নির্মাণের ক্ষেত্রে গ্রামের অনেকের অবদান রয়েছে। সম্প্রতি (২/৩ বছর আগে) মসজিদটির সংস্কার করে দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।
এখনো এই মসজিদের উন্নয়ন কাজ চলমান আছে যেমন, মসজিদের প্রাচীর নির্মাণ, সিঁড়ি ঘর নির্মাণ, গেট নির্মাণ ও ইমাম সাহেবের ঘর নির্মাণ ইত্যাদি। এসব কাজ শেষ করতে আরো সহযোগিতা প্রয়োজন। কিন্তু মসজিদের নির্মাণের বাকি অংশের কাজের উন্নয়নের সহযোগিতা না করে একটি মহল পুরো মসজিদটি ভেঙে পুনরায় নির্মাণের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। যা রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয় বলে ভাবছে অভিযোগকারীর।
একটি মহল মুসলমানদের পবিত্র স্থান মসজিদের মত একটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে গ্রামের পরিবেশ নষ্ট করতে চায় বলেও আবেদনকারীরা সচিব বরাবর তাদের আবেদনে অভিযোগ করেছেন।
সরজমিনে পিরোজপুর মধ্যপাড়া মসজিদ সন্নিকটস্থ এলাকায় যে দেখা যায় পুরাতন মসজিদটি ভেঙে নতুন মসজিদ তৈরি নিয়ে পক্ষ ও বিপক্ষে ভিন্ন মতাবলম্বী লোক রয়েছে।
মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি মারফুল হোসেন বলেন, ‘সকলে সিদ্ধান্ত নিলেও রাজনৈতিক ভিন্ন মতাদর্শের ২-৩ জন যারা বিএনপি ও জামাতের রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট তারা মসজিদ পুনঃনির্মাণের বিরোধিতা করছে।’
মসজিদ কোন নির্মাণে বিরুদ্ধে কারীদের একজন লিটন। তিনি বলেন,’ মাত্র দুই বছর আগে মসজিদটি দোতলা করা হয়েছে। আপনারা একটু দোতলায় গিয়ে দেখেন টাইলস লাগানো সহ কাজ করা হয়েছে। এখন মসজিদ ভেঙে পুনর্র্নিমাণ করতে গেলে আমরা সেটা কোনভাবে মেনে নেব না। ব্যাপারটি আমরা আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসকে জানিয়েছি।
মসজিদের ইমামকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘মসজিদ পুনঃনির্মাণের ব্যাপারে গ্রামে যেহেতু দুইটি গ্রুপের বিভক্তি হয়েছে তাই আমি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করব না।
জাদুখালী স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন শিক্ষক আশরাফুল হক বলেন, ‘আমি ৫৩ বছর ধরে মসজিদের সভাপতি ছিলাম। তাহাজ উদ্দিন নামে একজন কিছুদিন মসজিদটির সভাপতি ছিলেন সে সময় অনুমোদন এবং কোন প্রকৌশলীর পরামর্শ ছাড়াই মসজিদটি দোতলা করা হয়েছিল।