২য় দিনে পূজার মন্ডপ গুলোতে ছিল উৎসবের আমেজ। ঢাকের বাজনায় মন্ডপ গুলোতে আরাধনায় মগ্ন ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। এ উপলক্ষে পূজা মন্ডপের পাশ দিয়ে বসেছে অসংখ্য মেলার স্টল। সব ধর্মের মানুষ আসছে মেলায় ঘুরতে সেই সাথে কিনছে নানা রকম খেলনা। পূজা মন্ডপকে ঘিরে বসেছে মুখরোচক নানা খাবারের দোকান। মহা ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে মেহেরপুর জেলার ৪১টি পূজা মন্ডপে গত শুক্রবার শ্বারদীয় দুর্গাপূজার শুরু হয়েছে।
পূজা আনন্দ মুখর করতে জেলার পূজা ম-প গুলি সাজানো হয়েছে নানা রঙে। মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় এ উৎসব। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিটি পূজা ম-পের নিরাপত্তায় পুলিশ ও আনসার, সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। প্রায় প্রতিটি ম-পে স্বেচ্ছা সেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও সাদা পোশাকে গোপন শাখার পুলিশ সদস্যরা এবং টহল পুলিশ এবং সমন্বয় কমিটির সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতায় থাকছেন।
এ দিকে, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে মেহেরপুর জেলায় বসবাসরত হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই সাথে মেহেরপুরের বিভিন্ন মন্ডপ গুলো তিনি পরিদর্শন করেছেন।
মেহেরপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরের মন্দিরের পুরোহিতদের দেওয়া হয়েছে বিশেষ শুভেচ্ছা উপহার।
মেহেরপুরের বেশ কিছু পূজা মন্ড ঘুরে দেখা যায় এ বছর উৎসবের আমেজ একটু বেশিই। শহরের বিভিন্ন মন্দিরের পূজা উদযাপন কমিটির লোকজন জানাই, গত বছরের তুলনায় এ বছর উসবের আমেজ বেশি। সব ধরনের মানুষ আসছে পূজা দেখতে। তবে এ বছর পূজার আয়োজনে খরচও হয়েছে বেশি।
নিজস্ব প্রতিনিধি: