সরকার নির্ধারিত সময়ে নয়, এক ঘন্টা পরে পরীক্ষ নিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম।
মঙ্গলবার মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার সপ্তম শ্রেনী ও নবম শ্রেনীর পরীক্ষার সময় সূচী ছিল সকাল ৯ টার সময়। অথচ, বর্শিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম নিয়েছেন সকাল ১০ টার সময়।
সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী মোহনা ও খাদিজা আক্তার জানায় আজকে আমাদের বিশ্ব পরিচয় সাবজেক্ট পরীক্ষা ছিল। সকাল ১০ থেকে সাড়ে ১০ টার মধ্যে পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এছাড়া নবম শ্রেনীর ছাত্র হুসাইন ও নাছিম আহমেদও একই কথা জানালেন।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম জানান, ইন্টারনেট থেকে প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করা যাচ্ছিলনা। তাই পরীক্ষা এক ঘন্টা পরে নেওয়া হয়েছে। তবে, তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুনিয়াতে এত কিছু হয়ে যায় সাংবাদিকরা দেখতে পাননা। আমি একটু অনিয়ম করেছি বলে লিখার জন্য সাংবাদিক চলে এসেছে? এ দুনিয়ার অনেকেই আকাম কুকাম করছে পারলে তাদের বিরুদ্ধে নিউজ প্রকাশ করেন। আমার বিদ্যালয়ের বিল্ডিং নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে লিখে দেখান তো।
বিষয়টি ছাত্র ছাত্রীর সাথে কথা বলায় এ প্রতিনিধির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নারগীছ খাতুন। তিনি সাংবাদিককে বলেন, আমার স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে আপনি কথা বললেন কেনো।
ছাত্র ছাত্রীরা কথা বলায় তিনি তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হন এবং সাংবাদিকের সাথে কথা না বলে চলে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।
এব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার অগোচরে হয়েছে। আমি খোঁজ নিয়ে জানাবো।